'একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্পের ব্যয় বাড়লো

'একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্পের ব্যয় ৩০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে মেয়াদ এক বছর কমানো হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2011, 09:06 AM
Updated : 13 Sept 2011, 09:06 AM
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- 'একটি বাড়ি একটি খামার' প্রকল্পের ব্যয় ৩০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে মেয়াদ এক বছর কমানো হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রেস বিফ্রিংয়ে পরিকল্পামন্ত্রী এ কে খন্দকার বলেন, মূল প্রকল্পে প্রকল্পটির ব্যয় ছিল এক হাজার ১৯৬ কোটি টাকা আর মেয়াদকাল ছিল ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় বাড়িয়ে এক হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। মেয়াদ এক বছর কমিয়ে আনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, 'একটি বাড়ি একটি খামার' সংশোধিত প্রকল্পের জন্য ব্যয় পাঁচ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্ত অর্থ সংকটের তা করা সম্ভব হয়নি।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পটি আবার চালু করা হয়।
সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে দেশের এক হাজার ৯৩২টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৩৮৮টি গ্রামের প্রতিটি বাড়িকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। সুবিধাভোগীদের প্রথমে মৎস্য চাষ, হাসমুরগী পালন, সবজিচাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের বিনিয়োগের জন্য কিছু অর্থ দেওয়া হবে।
এছাড়া উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণও নিশ্চিত করবে সরকার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন প্রতিটি গ্রামের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, "স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুবিধাভোগী চিহ্নিত করা হলেও স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি হবে না। পুরো বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হবে।"
আরও ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন
বৈঠকে আরও ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৪ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে চার হাজার ১০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার যোগান দেবে তিন হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। প্রকল্প সহায়তা পাওয়া যাবে ৫১২ কোটি টাকা।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ৩৪৩ কোটি টাকার øাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প, ১৮৫ কোটি টাকার ইলেকশন রিসোর্স সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প, ১২৩ কোটি টাকার গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প, ১০৭ কোটি টাকার বরগুনা-বেতাগী-নিয়ামতি-বাকেরগঞ্জ এবং আমতলী-তালতলী-সোনাকাটা সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, ৯৯ কোটি টাকার উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), ১৩৫ কোটি টাকার ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন সংক্রান্ত শাসন ব্যবস্থা শক্তিশারীকরণ প্রকল্প, ২৬২ কোটি টাকার কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায়), ৫০৫ কোটি টাকার পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী উন্নয়ন ২য় পর্যায় প্রকল্প, ৪৪৭ কোটি টাকার সিলেট বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ৪৬ কোটি টাকার জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, ১১৭ কোটি টাকার বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাহাবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন প্রকল্প, ৭৬ কোটি টাকার ইটনা-বড়ইবাড়ী-চামড়াঘাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১৬৯ কোটি টাকার এইচওয়াইভি জুট এন্ড জুট সিড প্রডাকশন এন্ড ইম্প্র"ভড জুট রেটিং প্রজেক্ট।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকম/এআরএইচ/পিডি/২১০১ ঘ.