নিজস্ব ভবনের ছাদে স্থাপন করা সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার শুরু করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাই কমিশন। কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই তাদের এ কার্যক্রম।
রোববার হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি সোলশেয়ারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার শুরু করেছে তারা। নিজেদের কার্যালয়ে ছাদে স্থাপিত সৌর প্যানেলের মাধ্যমে ১৫ দশমিক ৯৩ কিলোওয়াট/ঘণ্টা শক্তির প্রবাহ তারা পাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে হাই কমিশন নিজস্ব বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে, যা তারা আগে দেশের বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে নিত।
ব্রিটিশ হাই কমিশন জানিয়েছে, ৩০ বছর জীবনকালের এই সৌরবিদ্যুৎ কোষ ব্যবহার করে তারা প্রায় ৩২০ টন সমপরিমাণ কার্বনের নিঃসরণ কমাবে এবং একই সময়ে প্রতি বছর প্রায় ১৮ হাজার কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রাবার্ট ডিকসন এই সোলার প্যানেল উদ্বোধন করে বলেন, “হাই কমিশনে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার শুরু করতে পেরে আমি আনন্দিত। সৌর শক্তির মত নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুতের উৎপাদ এবং ব্যবহার করায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর আমাদের নির্ভরতা কমাবে।
“স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৬) দেখানো হয়েছে, দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণ শুধু বিশ্বের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং জ্বালানি সরবরাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও জরুরি।”
সোলশেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সেবাস্টিয়ান গ্রোহ বলেন, “এই পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা ব্রিটিশ হাই কমিশনের পুরো দলকে অভিনন্দন জানাই। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কপ২৭ চলাকালে অন্যান্য দূতাবাসের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টির ভালো সময়।
“এটা শুরু মাত্র, আমরা আশা করছি, তাদের এই টেকসই পরিবেশবান্ধব অগ্রযাত্রায় সহায়তাকারী হিসেবে আমরা ভবিষ্যতে কাজ করার আরও সুযোগ পাব।”
ব্রিটিশ হাই কমিশন বলছে, ছাদে স্থাপন করা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণে অন্যতম পরীক্ষিত সমাধান এবং এটা বিদ্যমান জ্বালানি সংকট দূর করতে পারে। কার্যালয়ের ছাদে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল চালু করার মধ্য দিয়ে এই পরিবর্তনের অংশীদার হতে পেরে হাই কমিশন ‘গর্বিত’।