২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
Published : 21 Oct 2024, 04:59 PM
বছর আটেক আগে আয়নাঘরে (বন্দিশালা) নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক আইনজীবী।
সোমবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে আইনজীবী জাহিদুল হক এ অভিযোগ দায়ের করেন।
জাহিদুল হক জানান, তিনি একজন আইনজীবী; বাংলাদেশের সুশাসন, ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলেন। বিশেষ করে দেশে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে লেখালেখি করেন।
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ডিজিএফআই দিয়াবাড়ী তুরাগ ঢাকা থেকে তাকে হাত ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন জাহিদ।
“আমাকে অত্যন্ত নির্মম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে এবং চোখ, হাত বেঁধে রাখে। মাথা থেকে গলা পর্যন্ত টুপির মতো একটি কভার দিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল আটকে রাখে।”
অভিযোগে তিনি বলেন, অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর ডিজিএফআই সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা খসরু চৌধুরী, আইপিডিসি ফাইন্যান্সের এমদাদুল রশিদ, জুয়েল ভূইয়া, শাহিনুজ্জামান, শেখ ফারসাদ, মাজেদ হোসেন, মারুফ হোসেন, জহিরুল হক, এম এম মুশফিকুর রশিদ ও শফিকুল ইসলাম তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে মরদেহ গুম করে দেওয়ার হুমকি দেন।
“এ সময় আমার মালিকানায় থাকা আশুলিয়ার একটি পাঁচতলা বাড়ি আইপিডিসির কাছে মর্টগেজ দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং ব্ল্যাঙ্ক নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প এবং আইপিডিসির লোগো প্রিন্ট করা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।”
জাহিদুল হক বলেন, তার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করা সব কাগজপত্র ও মর্টগেজ দলিল ব্যবহার করে আইপিডিসির সব আসামি যোগসাজশ করে খসরু চৌধুরীর ঢাকা ব্যাংকের একাউন্টে এক কোটি বিশ লাখ টাকা ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়; যার দায়ভার জাহিদুলের ওপর চাপিয়ে দেয়।
“ডিজিএফআই বলে এটি আয়নাঘর, এখানে যে একবার আসে মৃত্যু ছাড়া বের হতে পারে না। আমি আমার জীবন বাঁচাতে তাদের কথা মতো সব কাগজপত্রে স্বাক্ষর করি। পরবর্তী সময়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ আমাকে কাঞ্চন ব্রিজ নিকটবর্তী, পূর্বাচল আবাসিক এলাকা, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে একটি গাড়ি থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় রেখে যায়।”