সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ফল বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন একজন আইনজীবী।
এই নির্বাচনে সভাপতি পদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বুধবার এ রিট আবেদন করেন।
হট্টগোল, মারামারিতে দুইদিন ঝুলে থাকার পর গত শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়, যেখানে সভাপতি পদে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে সম্পাদক পদে শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হন।
অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোটের ফল বাতিল চেয়ে তিনি রিট আবেদন করেছেন। আগামী সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়। শনিবার রাত দেড়টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল খায়ের নির্বচানের ফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে বিএনপির নীল প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচতি হন এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তিনজন বিজয়ী হন। এরা হলেন সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি, ফাতিমা আক্তার ও মো. শফিকুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের প্যানেল থেকে সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হকসহ ১০ জন বিজয়ী হন।
বিজয়ী অন্য ৯ জন হলেন সহ-সভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার, সহ-সভাপতি পদে ড. দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হোসেন, ট্রেজারার পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনছারী, সহ-সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (পল্লব)।
সদস্য পদে বিজয়ী হন রাশেদুল হক খোকন, মো. রায়হান রনী, মো. বেল্লাল হোসেন (শাহীন) ও খালেদ মোশাররফ (রিপন)।
নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার শেষ রাতে মারামারি, হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে গণনা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেোরেল মারধরের শিকার হন। এরপর শুক্রবার পুরোদিন এ সংক্রান্ত কোনো কর্যক্রম চলেনি। পরে শনিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। রাতে দেড়টায় ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়।
হট্টগোল মারামারির ঘটনায় মারধরের শিকার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ বাদী হয়ে স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতারা যুথীকে প্রধান আসামি এবং বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে দুই নম্বর আসামি করে ২০ জনের নামে মামলা করেন শাহবাগ থানায়।
মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০-৪০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।