মার্চের মধ্যেই সায়েদাবাদে আধুনিক বাস টার্মিনাল: তাপস

মেয়র তাপস জানান, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে কার্যকর, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকার বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2022, 12:52 PM
Updated : 10 August 2022, 12:52 PM

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে জানিয়ে আগামী মার্চের মধ্যেই তা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এমন আশাবাদ জানান তিনি।

মেয়র বলেন, “নিজ অর্থায়নে আমরা আমাদের সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও সিটি বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কাজ আরম্ভ করেছি। ৩০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে আমরা এ কার্যক্রম নিয়েছি।”

তিনি বলেন, “সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালটি অনেকদিন পূর্বে নির্মাণ হওয়ার পরে কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতাসহ অবকাঠামোগুলো খুবই খারাপ ও ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল।”

বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা শহরের গণপরিবহনকে যাতে শৃঙ্খলার আওতায় আনা যায়, সেজন্য এই কাজটি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র।

“আপনারা দেখেছেন, কাজটি দ্রুত চলমান রয়েছে। আমরা আশাবাদী, আগামী মার্চের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে।”

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে কার্যকর, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় টার্মিনাল হিসেবে পরিচালিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, “এখানে আলাদাভাবে বাস রাখার জায়গা, শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা, শৌচাগার করা হচ্ছে।

“এছাড়া যাত্রীরা যাতে ভেতরে প্রবেশ করে সেবা নিতে পারেন, সেরকম করে আমরা এই পুরো সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।”

বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম সফলভাবে শুরু করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের একটি যাত্রাপথ শুরু হয়েছে। আরও তিনটি যাত্রাপথ ইনশাআল্লাহ আগামী ১ সেপ্টেম্বর আমরা উদ্বোধন করব।”

এ সময় বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ২টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ফজলে নূল তাপস।

তিনি বলেন, “একটি কাঁচপুরে, অন্যটি কেরানীগঞ্জের কাছাকাছি। এর মধ্যে একটি জমির অধিগ্রহণ হয়েছে, আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটি জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

“এগুলো নির্মাণ হতে আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে। এর মধ্যে বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্যই আমরা বাস টার্মিনাল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, “কিছু পথ টার্মিনালের কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই আমরা নিচের রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি।

“টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে প্রবেশের পথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো কার্যকর নয়। সেজন্য আমরা নতুন করে এটা কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেছি।”

এ সময় সিটি করপোরেশনের অবকাঠামোগুলো পোস্টারসহ বিভিন্ন ধরনের লেখায় ঢাকা পড়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখানে জনগণের সচেতনতাই মুখ্য। আমরা আশা করব, তারা এগুলো থেকে বিরত থাকবেন।

“এক্ষেত্রে আমাদের আইন রয়েছে, কিন্তু আমরা প্রয়োগ করি না। অবকাঠামো নির্মাণে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হলে এর উৎকর্ষতার জন্য যা করা দরকার, আমরা করব। অবকাঠামো সুন্দর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।”