শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা দেখছেন না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
কোভিড মহামারীর দাপট কমে আসায় এবার একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে সশরীরে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাই বিশেষ নিরাপত্তার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন ঢাকার পুলিশ প্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক। পরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট থ্রেট নাই।“
আদালত চত্বর থেকে গতবছরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ‘তৎপর’ বলে জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, “তাদের ছিনতাইয়ে যারা জড়িত ছিল আমরা ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। শুধু ওই দুইজনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমাদের টিম তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ শহীদ মিনার এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে জানিয়ে ফারুক বলেন, “মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পরবর্তীতে আপামর জনসাধারণ যারা শ্রদ্ধা জানাবেন, তাদের শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের দ্বিতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা কার্যকর থাকবে।”
ডিএমপি কমিশনার জানান, নিরাপত্তা বিবেচনায় ঢাকার পলাশী মোড় থেকে দোয়েল চত্বর এবং বইমেলাসহ পুরো এলাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এসব এলাকার কাছাকাছি পুলিশের কন্ট্রোল রুম রয়েছে জানিয়ে কমিশনার ফারুক বলেন, শহীদ মিনারে প্রবেশ পথে আর্চওয়ে থাকবে। যারা ভেতরে প্রবেশ করবেন, প্রত্যেককে সার্চ করে প্রবেশ করানো হবে।
শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসা ব্যক্তিদের ব্যাগ জাতীয় কোনো কিছু সঙ্গে না আনাতেও অনুরোধ জানান কমিশনার ফারুক।
কে কোন পথে যাবেন শহীদ মিনারে
একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে যেতে ডিএমপির রুটম্যাপ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনার ফারুক।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য এবং বিদেশি কূটনীতিকরা দোয়েল চত্বর হয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেবেন।
আর পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবে শহরের সাধারণ মানুষ।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে ফিরতি পথ ধরতে হবে। তারপর দোয়েল চত্বর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চাঁনখার পুল হয়ে কেবল বের হওয়া যাবে।