ঢাকার শিশু হাসপাতাল চত্বরে সাইকেল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বিকাল ৩টার দিকের এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাসুদ রানার অভিযোগ, হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী আনসার ও অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা তার ভাই মো. মামুনকে (৩০) পিটিয়ে মেরেছে।
এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় তিনি একটি মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া।
নিহত মামুন ঢাকার পল্লবী এলাকায় চায়ের দোকান চালাতেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই।
ওসি উৎপল জানান, গণপিটুনিতে মামুনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।
পরে রাতে ওসি জানান, সিসিটিভি ফুটেজে কারা তাকে পিটিয়ে মেরেছে তাদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে।
এদের মধ্যে আশরাফ (২৪) নামে এক অ্যাম্বুলেন্স হেলপার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, মামুন সাইকেল চুরির চেষ্টা করছিল এমন সিসি ফুটেজও তারা পেয়েছেন।
শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা শুনেছি ওই ছেলে একজনের সাইকেল নিয়ে চলে যাওয়ার সময় লোকজন তারে পিটায়া মারছে। এখন পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে।”
নিহতের ভাই মাসুদ রানা জানান, মামুন মেয়ে, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে নিয়ে দুপুরে শিশু হাসপাতালে যান। পরে অন্যদের বাসে তুলে দিয়ে প্রতিবেশীর অসুস্থ এক বাচ্চাকে দেখতে যান। সেখানে এক আনসার সদস্যের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডার পর তাকে মারেন নিহত মামুন।
“এরপর ওই আনসার সদস্য ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে সেখানে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নিয়ে মামুনকে পিটিয়ে হত্যা করেন,” বলে অভিযোগ তার।
শেরে বাংলা নগর থানার এসআই আল মামুনের দাবি, নিহত মামুন মাদকাসক্ত ছিলেন। মূলত তার (মামুনের) চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পরিবারের লোকজন তাকে ওই এলাকায় নিয়ে আসেন। এরপর তার সঙ্গে কী ঘটেছে সেটি তারা তদন্ত করছেন।