ঘটনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের চিনতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে।
Published : 13 Feb 2024, 07:41 PM
ঢাকার শাহবাগে ফুলের দোকানে সংবাদ সংগ্রহের সময় তিন সাংবাদিককে দলবেঁধে দোকানের কর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকালে শাহবাগ ফুলের মার্কেটে ‘ফুলতলা ফ্লাওয়ার সপ’ নামের একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার তিন সাংবাদিক হলেন-নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা বিশ্বদ্যালয় প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, রেডিও টুডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল আজাদ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাসেল সরকার।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছেন। এতে সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
শাহবাগের ফুল মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের কর্মী পায়েল (৩৫), সাল্লু (২৭), আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), বুলু (৩২), দিদার (৩১), বাবু (৩০) ও জাহাঙ্গীরের (৩২) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি মো. মোস্তাজিরুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শাহবাগ ফুল মার্কেটে তিন সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমি সহকর্মী রাসেল সরকারকে নিয়ে শাহবাগ ফুল মার্কেটে ফুলের দাম বাড়ার কারণ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে যাই। ফুলতলা ফ্লাওয়ার সপে কর্মরত পায়েলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সে আমাদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে খারাপ আচরণ শুরু করে দেন এবং আমাদেরকে ভুয়া সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করেন।
“আমরা মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করলে সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করে। আমার সহকর্মী প্রতিবাদ করতে গেলে বর্ণিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন বিবাদী এসে আমাদের দুজনকে মারপিট করে।”
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রেডিও টুডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল আজাদ। সাংবাদিক পরিচয়ে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও মারপিট করেন বলে মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইমদাদুল আজাদকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। এতে তার ডান চোখে আঘাত লেগেছে।
মারধরের ঘটনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী চিনতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে এবং ইমদাদুল আজাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
মনিরুল বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আজাদের চোখে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে শাহবাগ ফুলতলা ফ্লাওয়ার সপের মালিক মো. মেরিন শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঢাকার বাইরে আছি। শুনেছি দোকানে ঝামেলা হয়েছে। আমাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।”