সমগ্র বাংলাদেশ

নড়াইলে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত: মির্জাপুর ফাঁড়ির প্রধানও প্রত্যাহার

Byবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় সোমবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসআই মুরছালিন এই মামলার বাদী। তাকে যেকোনো সময়ে কাজে লাগতে পারে, সেই কারণে তাকে নড়াইল জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।“

এর আগে শনিবার রাতে সদর থানার ওসি শওকত কবীরকে প্রত্যাহার করে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়। তবে কী কারণে ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়ে হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানায় পুলিশ।

শওকত এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ১৭ জুন সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরদিন কলেজে গেলে কিছু মুসলমান ছাত্র তাকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে বলেন।

এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস পুলিশে খবর দেন। এরই মধ্যে ‘অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদেরও সংঘর্ষ বাধে।

সে সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা স্বপন কুমারের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। তখন পুলিশ ওই ছাত্রের সঙ্গে অধ্যক্ষকেও থানায় নিয়ে যায়।

২৭ জুন এসআই শেখ মোরছালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।

এরপর এই মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- আসামিরা হলেন- মির্জাপুরের সৈয়দ রিমন আলী, মির্জাপুর বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী শাওন খান, মধ্যপাড়ার মো. মনিরুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ রনি এবং সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কারিগর পাড়ার বাসিন্দা নুরুন্নবী।

এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এরই মধ্যে শনিবার রাতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

আরও পড়ুন:

SCROLL FOR NEXT