ওই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে সোমবার এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
অধিদপ্তরের কলেজ ও প্রশাসন উইংয়ের পরিচালক শাহেদুল খবির চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ওই অঞ্চলের পরিচালককে বলেছি বিষয়টি দেখতে।
“এ ঘটনা জানতে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ও বিষয়টি আমাদের জানাতে মাউশি থেকে মৌখিকভাবে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করার নির্দেশনা দিয়েছি।”
শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর এই ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলে তার চাকরির বিধি-বিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার করা যেত। কিন্তু তাকে জুতা পরানোর ঘটনা দুঃখজনক।”
বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সমালোচনায় থাকা ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেইসবুকে নড়াইলের এক কলেজ ছাত্রের পোস্টকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত।
গত ১৭ জুন নড়াইলের সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ওই ছাত্রের পোস্ট দেওয়ার পরদিন কলেজে গেলে কিছু মুসলমান ছাত্র তাকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে বলেন।
ওই সময় ‘অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। অধ্যক্ষ ও দু’জন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদেরও সংঘর্ষ বাঁধে।
ওই সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। ওই ঘটনার কিছু ছবি ও ভিডিও ফেইসবুকে আসে, যাতে পুলিশের উপস্থিতিও দেখা যায়।
পরে অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে হেনস্তার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এর প্রতিবাদে সোমবার বিকালে ঢাকার শাহবাগে একটি সমাবেশ হয়েছে।