সুদীপ্ত বিশ্বাস।

)<div class="paragraphs"><p>সুদীপ্ত বিশ্বাস।</p></div>
চট্টগ্রাম

অবশেষে বিচারে এল সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলা

Byচট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় ২৪ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালতে।

সোমবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর মধ্যে দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার এক বছর সাত মাস পর অবশেষে বিচারে এল আলোচিত এ মামলা। এর মধ্যে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে মোট ছয়বার।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, নিয়ম অনুযায়ী এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতি চান। পরে বিচারক ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেন।

আসামিরা সবাই জামিনে আছেন। তাদের মধ্যে আবু জিহাদ সিদ্দিকী ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকদিন পর অভিযোগ গঠন হল। এখন সাক্ষ্য শুরু হবে। আসামিরা অনেক ক্ষমতাবান ও টাকাওয়ালা।

“আমি শিক্ষক মানুষ। আর্থিক অবস্থাও ভালো না। অনেক কষ্টে একজন উকিল দিয়েছি। আমি সবার সহযোহিতা চাই যেন ছেলে হত্যার বিচার পাই। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিলে তাড়াতাড়ি বিচার হত।”

সুদীপ্ত হত্যার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ও ১৮ জুলাই মামলার অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের শুনানি হয়। বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন।

তার আগে ২০ জুন আসামিরা সময় প্রার্থনা করায়, ২৬ মার্চ এক আসামি হাজির না থাকায়, ২২ মার্চ বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং ১৯ জানুয়ারি আসামিরা সময়ের আবেদন করায় মোট চার দফা অভিযোগ গঠন পিছিয়ে যায়। 

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। 

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আসামি দিদারুল আলম মাসুম লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগপত্রে তাকে সুদীপ্ত হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ বলা হয়েছে। আর আইনুল কাদের নিপুকে বলা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ‘নেতৃত্বদাতা’।

২৪ আসামিদের মধ্যে ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন আদালতে জবানবন্দিও দেন। পরে তারা জামিন পান।

মামলার আসামিরা হলেন- মো. মোক্তার হোসেন (২২), মো. আমির হোসেন ওরফে বাবু (২০), খাইরুল ইসলাম নুর ওরফে খায়ের (২০), ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে পাপ্পু (২১), রুবেল কান্তি দে (২৭), সালাউদ্দিন লাভলু ওরফে ডিশ সালাউদ্দিন (২১), মো. রাজিবুল ইসলাম রাজিব (২৩), মামুনুর রহমান রাব্বি (২২), ইব্রাহিম খলিল ওরফে বাপ্পি ওরফে বাবর (২২), আইনুল কাদের চৌধুরী ওরফে নিপু (২৭), জাহিদুর রহমান জাহেদ (২৫), জিয়াউল হক ফয়সাল (৩০), মো. নিজাম উদ্দিন রুবেল (২৫), মো. মাঈনুদ্দিন হানিফ ওরফে পিচ্চি হানিফ (৩৫), মো. মিজানুর রহমান রাকিব (২৩), মো. দিদারুল আলম মাসুম (৪৮), মো. শামীম (২৯), মো. মোজাম্মেল হক মুরাদ ওরফে মুরাদ হোসেন (৩০), মো. আবু জিহাদ সিদ্দিকী (২৮), মো. মামুন (২৬), টিপু সুলতান (২৮), নিয়াজ মোর্শেদ নিপু (২৮), আমজাদ হোসেন বোক্ক্যা (২৩) ও মো. আব্দুল রব নওশাদ (২৪)।

পুরনো খবর

SCROLL FOR NEXT