সোমবারের এ হামলায় আরো প্রায় ৪০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইয়েমেনি বার্তা সংস্থা সাবা।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সানা দেশটির হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি হুতিরা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনারা দেশটির অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। এরপর থেকে হুতিদের দমনে দেশটিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী।
“২৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৯৮ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আজ সৌদিদের আগ্রাসী বিমান হামলার পর এটি হতাহতের প্রাথমিক বিবরণ,” বলেছে হুতি নিয়ন্ত্রিত সাবা।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের এই সংখ্যা নিরপেক্ষ কোনো সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায়নি। তবে মেডিকেল সূত্রগুলো অন্ততপক্ষে ১৫ জন নিহত ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
হামলার শিকার ঘাঁটিটি সানার হাদ্দা এলাকার পাশের ফাজ আত্তান পর্বতে অবস্থিত। হাদ্দা এলাকায় ইয়েমেনের প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও অনেকগুলো দেশের দূতাবাস রয়েছে।
বিস্ফোরণের ধাক্কায় ওই এলাকার কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ঘরবাড়ির জানালা-কপাট উড়ে যায়। বিস্ফোরণ স্থল থেকে ব্যাঙের ছাতার আকৃতির বড় ধরনের ধোঁয়ার কুণ্ডুলি উঠতে দেখা যায়।
তিন সপ্তাহ ধরে চলা সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় এটি সবচেয়ে বড় বিস্ফোরণের ঘটনা বলে জানিয়েছেন সানার বাসিন্দা আদেল মনসুর।
এদিকে সানায় নিজেদের দূতাবাসের কাছে চালানো এই বিমান হামলার ব্যাখ্যা চেয়ে সোমবার তেহরানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে সমন পাঠিয়েছে ইরান।