ইউক্রেইনে গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলোকে দুষেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
Published : 16 Apr 2015, 08:53 PM
তিনি বলেন, তারা কিয়েভকে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ করার যে চেষ্টা নিয়েছিল তা ছিল মস্কোর জন্য হুমকিস্বরূপ। আর সে কারণেই ইউক্রেইন পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে রাশিয়া বাধ্য হয়েছে।
মস্কোয় বার্ষিক এক নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্যদানকালে শইগু ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সামরিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ করেন। তারা বিপ্লব ঘটিয়ে তাদের অপছন্দের শাসকদেরকে উৎখাত করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিপ্লবের ধারায় ইউক্রেইনকে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়ে শোইগু বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো কিয়েভকে তাদের কব্জায় নেয়ার চেষ্টায় সম্ভাব্য সব সীমাই পার করে গেছে। তাদের এ কর্মকাণ্ডই আমাদেরকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখাতে প্ররোচিত করেছে।”
রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল ভ্যালেরি গেরিসিমভের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে শোইগু বৈঠকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র নিজেদেরকে স্নায়ুযুদ্ধে জয়ী ধরে নিয়ে তাদের প্রয়োজনমাফিক বিশ্বের রূপান্তর ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
“পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে ওয়াশিংটন অন্যান্য দেশের স্বার্থ বিবেচনায় না নেয়া ছাড়াও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো বন্ধ করেছে।”
রাশিয়া গতবছর মার্চে ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে নিজ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। ‘অসাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ এর মধ্য দিয়ে কিয়েভের মস্কো-সমর্থিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করার অভিযোগ তুলে ইউক্রেইনে নাক গলায় রাশিয়া।
এরপর থেকেই পূর্ব ইউক্রেইনে বিচ্ছিন্নতাবাদী অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেইনের রুশ-ভাষাভাষী এ অঞ্চলে কিয়েভের সেনা এবং রাশিয়া-পন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে সেনা ও অস্ত্র দিয়ে রাশিয়া সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পূর্ব ইউক্রেইনের বিদ্রোহীদের কোনোরকম সামরিক সহায়তা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি।