পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাটের স্থানীয় চার্চ পরিচালিত একটি স্কুলে ডাকাতি ও বৃদ্ধা নানকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বাইয়ে মোহাম্মদ সেলিম শেখকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পরে সেলিম শেখকে কলকাতায় আনা হয়েছে এবং তার দেয়া তথ্য অনুসারে গোপাল শরকর নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব কুমার।
সেলিমের মুখের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া দুষ্কৃতকারীদের মুখের ছবির মিল রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
১৪ মার্চ ভোরের দিকে রানাঘাট এলাকায় দুষ্কৃতকারীরা জোর করে স্কুলে ঢুকে তান্ডব চালায় এবং অর্থ লুট করে। এরপর তারা চার্চে প্রবেশ করে এবং যাজিকাকে ধর্ষণ করে।
সম্প্রতি দিল্লির বেশ কয়েকটি চার্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে সেখানকার খ্রিস্টান সমাজ। তাদের অভিযোগ, উগ্রবাদী হিন্দুরা এই হামলা চালাচ্ছে। তারা সরকারের কাছে অধিক সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে।
কলকাতার আর্চবিশপ টমাস ডিসুজা বিবিসি’কে বলেন, চার্চ ও স্কুলের ভেতরে থাকা নিরাপত্তা ক্যামেরায় এ ঘটনায় জড়িত ছয়জনের মুখ দেখা গেছে।
“তারা প্রথমে স্কুলের প্রিন্সিপালের কার্যালয় এবং শ্রেণি কক্ষে তাণ্ডব চালায়। এরপর তারা চার্চে প্রবেশ করে। ওই সময় সেখানে মাত্র তিনজন যাজিকা উপস্থিত ছিলেন।”
“একজন যাজিকার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। বাকি দুজন যাজিকা এবং একজন নিরাপত্তারক্ষীকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল।”ওই ব্যক্তিরা অর্থ চুরি করেছে বলেও জানান তিনি।