‘জিহাদি জন ছিলেন ঠাণ্ডা, নিভৃতচারী’

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শিরশ্ছেদকারী ‘জিহাদি জন’ ওরফে এমওয়াজি ছিলেন একজন ‘ঠাণ্ডা এবং নিভৃতচারী’ মানুষ। নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই বেশি পছন্দ ছিল তার। অথচ এখন সবার কাছেই তিনি ভয়ঙ্কর এক খুনী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2015, 02:12 PM
Updated : 2 March 2015, 03:28 PM

স্কুলে পড়ার সময় মোহাম্মদ এমওয়াজিকে দেখে কখনোই মনে হয়নি সে মৌলবাদী হয়ে পড়তে পারে। এমওয়াজির স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক জো শুটার এ কথা বলেছেন।

বিবিসি’কে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে শুটার এমওয়াজিকে কঠোর ‘পরিশ্রমী’ উল্লেখ করে বলেন, “এমওয়াজি সম্পর্কে আমার যতদূর মনে পড়ছে সে চুপচাপ এবং যথেষ্ঠ পরিশ্রমী ছিল। যদিও কিশোর বয়সের সাধারণ সমস্যাগুলো তার মধ্যেও ছিল।”

“ছাত্র হিসেবে কখনোই তাকে নিয়ে আমাদের অধিক উদ্বিগ্ন হতে হয়নি।”

উত্তরপশ্চিম লন্ডনের কুইনটিন কেইনেস্টোন একাডেমিতে পড়াশুনা করেছেন এমওয়াজি। ২০০২ সালে ওই স্কুল প্রধান শিক্ষক হিসবে যোগ দেয়া শুটার ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।

এই স্কুলের আরও দুই শিক্ষার্থী সিরিয়া ও সোমালিয়ায় জঙ্গি সংগঠনের হয়ে যুদ্ধ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শুটার বলেন, কোন শিক্ষার্থী চরমপন্থি হয়ে পড়ছে এমন কোন ইঙ্গিত তারা কখনোই পাননি।

“আমি ঠিক জানিনা কখন থেকে তাদের মধ্যে মৌলবাদী চিন্তা ভাবনা জাগ্রত হতে শুরু করেছে। বুকে হাত দিয়ে বলছি, আমি যা বলছি সত্যি বলছি। আমাদের এ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। যদি আমরা আগে বুঝতে পারতাম তবে অবশ্যই এ ব্যাপারে কোন না কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।”

নিজেদের স্কুলের পরিবেশ সম্পর্কে শুটার বলেন, “আমাদের স্কুলে সহনশীলতার একটা মাত্রা আছে এবং স্কুলে এমন ব্যবস্থা আছে যেখানে কিশোররা অভিজ্ঞ কারো সঙ্গে যে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায়।”

“শিক্ষার্থীরা কোন বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে সবসময়ই সেখানে কেউ না কেউ থাকে যার সঙ্গে তারা নিজেদের উদ্বেগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে।”

এমওয়াজির কথা শুনে তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না জানিয়ে বলেন, “এমন কি এখনো আমি যখন এ সম্পর্কিত খবরে তার নাম শুনি তখন বুঝতে পারি আমার ঘাড়ের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ, আমি তাকে যা ভাবতাম এটা কোনভাবেই তার সঙ্গে মেলে না। সে যা করেছে সেটা খুবই ভয়ঙ্কর এবং আমি এটা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছি।”