ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তা এলিজাবেথ হফ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে দেশটিতে শিশুদের টিকাদানের হার ছিল ৯০ শতাংশ। এ বছর সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২ শতাংশে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে টাইফয়েড ও জন্ডিসের মতো রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সিরিয়ায় ২০১১ সলের মার্চে থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুই লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
হফ বলেন, “সিরিয়ায় ১০ লাখ মানুষ যুদ্ধাহত। দেশটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আমরা এ অবস্থা দেখেছি। সেখানে অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছে এবং এটাই দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
“সিরিয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও একেবারে ভেঙে পড়েছে। সেখানে অর্ধেকের বেশি সরকারি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। এর অর্থ অসুস্থ হলে বা আহত হলে সেখানে নিয়মিত চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব নয়।”
এছাড়া, বাশার আল-আসাদ সরকার এখনো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অস্ত্রোপচারের অত্যাবশ্যিক সরঞ্জাম যেমন: গজ বা সিরিঞ্জ নিয়ে ত্রানকর্মীদের ঢুকতে বাধা দেয় বলে জানান হফ।
এসব সরঞ্জাম জঙ্গিরা ব্যবহার করতে পারে বলে আপত্তি আসাদ বাহিনীর।
ত্রানকর্মীরা বলেন, “সব সময় সরকারের অনুমতি পাওয়া যায় না। তাই নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ করতে সমস্যা হয়।”
রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সরকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফোনে যোগাযোগ কারার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালে সিরিয়া ও ওই অঞ্চলের প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষকে সাহায্য করতে আটশ’ ৪০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে জাতিসংঘ।