চীনা হ্যাকারদের সক্ষমতায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

চীনসহ অন্য দুএকটি দেশের হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম, বিমান চলাচল নেটওয়ার্ক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ব্যবস্থায় আক্রমণ করে যেগুলো বন্ধ করার ক্ষমতা অর্জন করেছে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ।

>> /রয়টার্স
Published : 22 Nov 2014, 03:55 PM
Updated : 22 Nov 2014, 03:55 PM

সংস্থাটির (এনএসএ) পরিচালক অ্যাডমিরাল মাইক রজার্স সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথা জানান।

ডিজিটাল আক্রমণকারীরা কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত এ ধরনের ব্যবস্থায় প্রবেশ করে সেগুলো কীভাবে কাজ করে তা জেনে, পুরো ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম বলে মনে করেন তিনি।

“কোন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, কোন দল বা ব্যক্তিগত ভাবে কারো কম্পিউটার ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করার ক্ষমতা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে,” বলেন তিনি।

চীনের এই ক্ষমতা আছে বলে জানান রজার্স। এছাড়া আরো দুই/একটি দেশের এই ক্ষমতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শঙ্কা তার।

এ ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র হং লি বলেন, চীন সরকার সাইবার হ্যাকিংকে সবসময় ‘অনুৎসাহিত’ করে এবং তাদের হরহামেশাই এ ধরণের আক্রমণের শিকার হতে হয়।

এ ধরণের আক্রমণগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকেই পরিচালিত হয় বলে দাবি হং লির।

“চীন সরকার এ ধরণের কার্যক্রম (হ্যাকিং) নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।”

দুই দিন আগে এনএসএ’র টেলিফোন রেকর্ড সংগ্রহের আইনে কিছু সংস্কারের এনে সিনেটে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছিলো, যেটা অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়। এর পর রজার্সকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি নীতিতে সংশোধন এনে নতুন একটি আইন পাশ হবে। যেখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকবে।

রজার্স জানান, টেলিফোন কোম্পানিগুলো এখনো এনএসএকে প্রয়োজনীয় রেকর্ড সরবরাহ করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে আরো কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে।

২০১৩ সালে সাবেক এনএসএ কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন সংস্থাটির গোপনীয় কাগজপত্র ফাঁস করে দিলে যুক্তরাষ্ট্রেকে ভীষণ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

নতুন আইনের ব্যাপারে রজার্স বলেন, নতুন আইনে কী নিয়ম যোগ করা হয় এনএসএ এবং টেলিফোন কোম্পানিগুলোর সেটার অপেক্ষায় থাকাই ভালো।