এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক সংস্কারকাজে নতুন করে জনগণের রায় নিতে চাইছেন তিনি। একইসঙ্গে বিপুল সরকারি ঋণ সামাল দিতে বিক্রয় কর বাড়ানোর অজনপ্রিয় পদক্ষেপটিও তিনি পিছিয়ে দিচ্ছেন।
কিন্তু স্থানীয় গণমাধ্যমে পরিচালিত জনমত জরিপে তার পক্ষে জনসমর্থন কমই দেখা যাচ্ছে। মেয়াদ শেষের দুবছর আগেই আবে কেন নির্বাচন ডাকলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই।
জাপান এখন ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পথেই এগুচ্ছে। শুক্রবার সকালে পার্লামেন্টের স্পিকার বুনমেই ইবুকি নিম্নকক্ষ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন।
দেশের নাজুক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন আবে। কিন্তু এ সপ্তাহে জাপানের অর্থনীতি আগের চেয়েও অপ্রত্যাশিতভাবে নিম্নগামী হয়ে যাওয়ার আবের অর্থনৈতিক কৌশল নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতেই নতুন করে জনগণের রায় নিতে নির্বাচনের পথে যান আবে।
কিয়োদো সংবাদ সংস্থার পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে ৬৩ শতাংশ মানুষ আগাম নির্বাচনের কারণ বুঝে উঠতে পারছে না। আশাহি শিম্বুন পত্রিকার আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, ৩৯ শতাংশ মানুষ আবেকে সমর্থন করে।
তবে আবের জনসমর্থন কমলেও বিরোধীদলের দুর্বলতার কারণে আবে ও তার দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিই (এলডিপি) নির্বাচনে জয়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবে বলেছেন, তার জোট নির্বাচনে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন।