বৃহস্পতিবার মসুলের স্থানীয় বাসিন্দারা ও স্থানীয় একটি হাসপাতাল সূত্র এ খবর জানিয়েছে।
নিহত ওই নেতার নাম রাদওয়ান তালেব আল-হামদৌনি। তিনি মসুল শহর আইএস’র ওয়ালি বা গভর্নর ছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার বিকেলে শহরের পশ্চিমাংশে তাকে বহনকারী গাড়িটি বিমান হামলার শিকার হয়। এতে গাড়িটির চালকসহ হামদৌনি নিহত হন।
বুধবার রাতে তাকে দাফন করা হয়। তার জানাযায় আইএস’র প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিল বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
দাফনের সময় উপস্থিত অনেকের হাতে আইএস’র কালো পতাকা ছিল বলে জানিয়েছেন ওই সূত্র।
হামদৌনি নিহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা।
গেল সপ্তাহে জঙ্গিগোষ্ঠিটি আরো কিছু বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইরাকের বৃহত্তম তেল শোধনাগার বাইজিতে আইএস’র পাঁচ মাসের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছেন।
এর আগে মসুলে আইএস’র শীর্ষ নেতাদের বৈঠকস্থলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় গোষ্ঠিটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা হতাহত হয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও কিছু একটা হয়েছিল বিভিন্ন সূত্রে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়।
তবে এসব সত্বেও আইএস’র জঙ্গিদের হামলা থামেনি।
বৃহস্পতিবার ইরাকের রামাদিতে আইএস’র এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি সেতুর উপর একটি মালবাহী লরি উড়িয়ে দেয়। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক কর্মকর্তা।