বুধবার জাতিসংঘের কূটনীতিকরা বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রস্তাবটি অনানুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি মিত্র আরব দেশ ও নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকটি সদস্য দেশকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করা হয়নি বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন ওই কূটনীতিকরা।
এর ফলে প্রস্তাবটি ভোটে দেয়া হবে কিনা এবং দিলে কখন দেয়া হবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রস্তাবে “পূর্ব জেরুজালেমসহ ১৯৬৭ সাল থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি এলাকা থেকে, যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, তবে অবশ্যই ২০১৬’র নভেম্বরের পরে নয়, ইসরায়েলকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার” কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবটি রয়টার্সের হাতে এসেছে জানিয়ে এটি ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো’র মুখে পড়তে পারে বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট আব্বাসের পরিকল্পনা সম্পর্কে সজাগ আছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি, জোরালোভাবে বিশ্বাস করে যাবো যে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে ওই দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।”
ইসরায়েল রাষ্ট্রের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র অস্তিত্ব নিয়ে “দু-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান”র ধারণা গ্রহণ করেছে ইসরায়েল। কিন্তু নিরাপত্তা ও অন্যান্য উদ্বেগের কথা তুলে ধরে চূড়ান্ত আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত মেনে নেয়ার বিষয়টি গ্রহণ করেনি।
শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, “নির্দিষ্ট সময়সীমার” মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ৪৭ বছরের দখলদারিত্বের অবসান করা না গেলে দেশটির সঙ্গে শান্তি আলোচনা অর্থহীন।