ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সিরিয়া বা ইরাকে সেনা পাঠাতে পারে তুরস্ক।
Published : 01 Oct 2014, 10:14 PM
সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্র জোটের বিমান হামলায় তুরস্ক তাদের বিমানঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে।
মঙ্গলবার তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সংসদে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, “ইরাক বা সিরিয়ার কোনো জঙ্গি দল যদি তুরস্কে হামলা করে তবে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।”
তুরস্ক আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আইএস জঙ্গিদের কাছে তুরস্কের ৪৬ জন নাগরিক বন্দী ছিল। ধারণা কারা হচ্ছে, তাদের কারণেই আইএস এর বিরুদ্ধে নীরব ছিল দেশটি। এমাসে ওই সব বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপরও আইএস নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে তুরস্ক সরকার।
ওদিকে, সংসদে পাঠানো ওই প্রস্তাবের অর্থ এটাও হতে পারে যে, আইএস এর বিরুদ্ধে বিদেশি সেনাদের যুদ্ধে তুরস্ক তাদের ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেবে।
দুই প্রতিবেশী ইরাক ও সিরিয়ার সঙ্গে ১২০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে তুরস্ক।
নেটোভুক্ত দেশ তুরস্কের সীমান্তের কাছেই সিরিয়ার আইএস জঙ্গিরা আগ্রাসন চালাচ্ছে। কিন্তু তুরস্কের সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেয়নি।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সিরিয়ার প্রায় ১৫ লাখ শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে।
তুরস্কে আশ্রয় নেয়া মাসলুম বেরগাদান বলেন, “তুরস্কের সীমান্তের কাছেই তারা আমাদের হত্যা করছে। যেটা আমাদের ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছে। তুরস্ক আমাদের কোনো সমবেদনা জানায়নি। এমনকি ইউরোপ বা বিশ্বের কোথাও থেকে আমাদের সমবেদনা জানানো হয়নি।“
ওদিকে, মিত্র জোটের বিমান হামলায় তুরস্ক যেন তাদের বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি দেয় এজন্য নেটোর পক্ষ থেকে আঙ্কারাকে চাপ দেয়া হচ্ছে।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের শহর ইনকিরলিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেখান থেকে কোনো বিমান হামলা চালানো হয়নি।