বিবিসি বলছে, পেশায় সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফার এই বন্দির নাম জন ক্যান্টলি।
প্রকাশিত ভিডিওতে ক্যান্টলিকে একটি লিখিত বার্তা পড়ে শোনাতে দেখা গেছে।
৯/১১’র বার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওই বার্তাটি তৈরি করা হয়েছে।
বার্তায় ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া কৌশলকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।
স্থানীয় আইএসবিরোধী বাহিনীগুলোকে সমর্থন দিতে জঙ্গিগোষ্ঠীটির বিভিন্ন অবস্থানে বিমান হামলার কৌশল অনুসরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে আইএস জঙ্গিদের হাতে বন্দি যুক্তরাজ্যের এক নাগরিকের শিরশ্ছেদ করেছে গোষ্ঠীটি। তারপর দেশটির আরেক বন্দির ভিডিও প্রকাশ করেছে। এবার বন্দি তৃতীয়জনের ভিডিও প্রকাশ করল তারা।
ভিডিওটি ক্যান্টলির একটি মন্তব্য দিয়ে শেষ হয়েছে। মন্তব্যে তিনি বলেছেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস) বলেছে তারা প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্মাণাধীন বাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎকে স্বাগত জানায়।
ভিডিওটির কোথাও সহিংসতার কোনো চিহ্ন না থাকলেও এর শুরুতেই ক্যান্টলি পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তিনি একজন বন্দি হিসেবে কথা বলছেন এবং তার জীবন বিপণ্ন।
সাড়ে পাঁচ মিনিটের এই ভিডিওর শেষ পর্যায়ে পরবর্তীতে আরও ভিডিও প্রকাশ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্যান্টলি।
অভিজ্ঞ এই সাংবাদিক সিরিয়ায় দুবার আটক হয়েছিলেন। প্রথমবার জুলাই, ২০১২’তে তাকে অপহরণ করে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে এক সপ্তাহ আটক রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’র সহায়তায় তিনি ছাড়া পান।
পরে ২০১২’র শেষ দিকে সিরিয়ায় ফেরার পর দ্বিতীয় বারের মতো অপহরণের শিকার হন তিনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফোলি ও স্টিভেন সতলফ এবং ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইন্সের শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ করেছিল আইএস।
এরপর দ্বিতীয় ব্রিটিশ বন্দি অ্যালান হেনিংয়ের বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। ওই ভিডিওতেও নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হেনিং।