এরআগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা ১৮ জন বলে জানানো হয়।
হিরোশিমা শহরের একপ্রান্তে একটি আবাসিক এলাকায় ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এখনো ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
তবে সরকারি কর্মকর্তা নাকাতোশি ওকামোতো বলেছেন, “বেশ কিছু মানুষ ভেসে গেছেন এবং ঠিক কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, ধসে পড়া মাটি ও পাথরের নিলে ঘরবাড়ি চাপা পড়ে আছে আর উদ্ধারকারীরা ওই বাড়িগুলোর কাছে পৌঁছাতে কাজ করে যাচ্ছেন।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় এক মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে কাদায় চাপা পড়া দুই বছরের এক ছেলেশিশুও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরো বৃষ্টির কারণে এ ধরনের ভূমিধসের ঘটনা আরো ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
জাপানের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকাই পার্বত্যময়। অনেক বাড়িই পাহাড় কেটে ঢালু ধাপের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এতে ভূমিধসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৩ সালে রাজধানী টোকিও’র দক্ষিণের ইঝু ও শিমা দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ভূমিধসে ৩৫ জন নিহত হয়েছিলেন।