বলা হচ্ছে, উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধী কেমোথেরাপির ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
ইনজেকশনের মাধ্যমে ভিটামিন সি প্রয়োগ করে কম খরচে অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরভাবে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার ও অন্যান্য ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যেতে পারে। বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা।
ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে কেমোথেরাপির পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’ও একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন এ গবেষণা।
বিবিসি জানিয়েছে, গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রথম ছাপা হয় ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন নামক সাময়ীকিতে। ক্যান্সার চিকিৎসায় ভিটামিন সি সেবন করা একটি প্রাচীন পদ্ধতি বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
গবেষকরা সরকারি উদ্যোগে নতুন এই গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তা যাচাইয়ের দাবি তুলেছেন। তবে এর মেধাসত্ব এখনো স্বীকৃতি না পাওয়ায় কোম্পানিগুলো এখনো এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ঘটাতে পারেনি।
১৯৭০ সালে রসায়নবিদ লিনাস পাওলিং জানিয়েছিলেন, ক্যান্সার রোগীর শিরায় ভিটামিন সি প্রয়োগ করা ক্যান্সার উপশমে খুবই কার্যকর। তবে পরীক্ষমূলকভাবে ভিটামিন সি মুখে খাইয়ে কোনো উপকার না মেলায় তখন গবেষণা কাজটি স্থগিত রাখা হয়।
তবে ‘ইউনিভার্সিটি অব কানসাস’ এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইনজেকশনের মাধ্যমে ভিটামিন সি দিলে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এটি দেহের অন্যান্য কোষের কোনো ক্ষতি ছাড়াই ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করতে পারে।
গবেষকরা পরীক্ষাগারে ইঁদুরের দেহ ছাড়াও মানুষের ডিম্বাশয়ের কোষ এমনকি ডিম্বশয়ের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর দেহেও ভিটামিন সি ইনজেকশন দিয়েছেন।
এতে দেখা গেছে, ভিটামিন সি দেহের সাধারণ কোষগুলোর কোনো ক্ষতি ছাড়াই ক্যান্সার কোষের ওপর কাজ করেছে।