নাস্তিকতার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে বা রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলামকে প্রত্যাখ্যান করেছে এমন ব্যক্তিদের আইনানুযায়ী মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় বিশ্বের ১৩টি দেশে। আর ১৩টি দেশের সবগুলোই মুসলিম প্রধান দেশ।
Published : 10 Dec 2013, 01:44 PM
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিস্ট এন্ড এথিক্যাল ইউনিয়নের (আইএইচইইউ) করা ‘মুক্তচিন্তা প্রতিবেদন-২০১৩’ নামের এক বিস্তারিত গবেষণা প্রতিবেদন এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএইচইইউ সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী নাস্তিক, সংশয়বাদী ও ধর্মীয় বিষয়ে সন্দেহবাদীদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে কাজ করে।
মুসলিম ওই দেশগুলো ছাড়াও পশ্চিমের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কয়েকটির সরকারও, যে সব নাগরিকেরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্যান্য বিশ্বাসী নাগরিকদের চেয়ে খারাপ বলে বিবেচনা করে, আর কখনো কখনো ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে তাদের কারাগারেও নিক্ষেপ করে।
এ বিষয়ে আইএইচইইউ’র সভাপতি সোনঝা এগগেরিক্স বলেছেন, “সব নাগরিকদের সমান বলে বিবেচনা করা হবে বলে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে সই করার পরও বেশিরভাগ দেশই নাস্তিক বা মুক্তচিন্তকদের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে প্রতিবেদনটি দেখিয়ে দিয়েছে।”
আইএইচইইউ’র গবেষণায় জাতিসংঘের ১৯২টি সদস্য দেশের সবগুলোর পরিস্থিতিই বিবেচনা করা হয়েছে। আইনজীবী ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত গবেষকদল ওই দেশগুলোর রেকর্ড বুক, আদালতের রেকর্ড ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিবেচনা করে এ ক্ষেত্রে বিশ্বের পরিস্থিতি নির্ণয় করেছে।
গত বছর প্রথম জরিপে ৬০টি দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল, এবার জাতিসংঘের সব সদস্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখিত বিবেচনায় যে সব দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে সেগুলো হল- আফগানিস্তান, ইরান, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।
এছাড়া অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। দেশটিতে ধর্মীয় মৌলবাদীরা ধর্মীয় সমালোচক বা নাস্তিক কাউকে হত্যা করলে সে বিষয়ে পুলিশ প্রায়ই নিষ্ক্রিয় বা তদন্ত করতে অনিচ্ছুক থাকে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।