জাতিসংঘের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও সে অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না। জাতিসংঘে প্রথম ভাষণে একথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Published : 18 Sep 2017, 10:17 PM
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে সোমবারের এ উদ্বোধনী ভাষণে ট্রাম্প জাতিসংঘকে ‘মানুষের ওপর আরও বেশি দৃষ্টি দেওয়া এবং আমলাতন্ত্রের ওপর কম দৃষ্টি’ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং এর সংস্কারের আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘে কোনও রাষ্ট্রেরই অসম ব্যয়ভার বহন করা উচিত না। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সামগ্রিক ব্যয়ের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশই দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এটি অন্যায্য।
আমলাতন্ত্র এবং অব্যবস্থাপনার কারণে জাতিসংঘ এর সম্ভাবনার পূর্ণ প্রকাশ ঘটাতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আরও দীর্ঘ ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। ওই ভাষণে তিনি উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাবেন।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী থাকার সময়ও জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। জাতিসংঘকে ‘পুরোমাত্রায় দুর্বল এবং অদক্ষ’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।
এবার জাতিসংঘের প্রথম ভাষণেও ট্রাম্পের একই সুরে বক্তব্য রেখেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে পরিবর্তন নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, জাতিসংঘকে প্রতিটি স্তরের ব্যবস্থাপনাকেই জবাবদিহিতার আওতায় রাখতে হবে এবং কর্মপ্রক্রিয়ার চেয়ে ফলাফলের ওপরই বেশি মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা একসঙ্গে কাজ করে গেলে এবং সংস্কার সাধনে সত্যিই সফল হলে জাতিসংঘ আরও শক্তিশালী, কার্যকরী, উপযুক্ত হয়ে উঠবে এবং বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপনের আরও বড় শক্তিতে পরিণত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”