তালেবানদের আশ্রয় দেওয়ার কথা পাকিস্তান অস্বীকার করলেও টিলারসন জানিয়েছেন, পাকিস্তান সরকার এই বিষয়ে ‘অবস্থান না বদলালে’তারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানের যুদ্ধের বিষয়ে নতুন কৌশল প্রকাশ করার এক দিন পর মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। নেটো জোটে অংশীদারিত্ব ছাড়াই ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা ও শত শত কোটি ডলারের সহায়তা পেয়ে থাকে।
টিলারসন বলছেন, এসব সুযোগ সুবিধা ও সহায়তার বিষয় নিয়ে তারা নতুন করে পর্যালোচনা করবেন যদি পাকিস্তান বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের ব্যাপারে তার অবস্থা বদল না করে। এসব সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
নিজেদের স্বার্থেই পাকিস্তানকে এ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পাকিস্তানের স্থিতিশীলতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের স্বার্থ জড়িত বলে জানিয়েছেন তিনি।
“তারা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং তাদের অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে,” বলেন তিনি।
আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে তালেবান বা যুক্তরাষ্ট্র কেউই হয়তো জিততে পারবে না এমন ইঙ্গিত দিয়ে লড়াই বন্ধে দরকষাকষির পথও খোলা রাখার কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে সোমবার রাতে ট্রাম্প আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান কৌশল পরিবর্তন করে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেখানে ‘যুদ্ধ জয়ের’প্রতিশ্রুতি দেন।
তাড়াহুড়া করে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী প্রত্যাহার করে নিলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে তা সন্ত্রাসীরা পূরণ করবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।