পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় এমন ‘কথা ও কাজ’ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
Published : 12 Aug 2017, 07:29 PM
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উত্তর কোরিয়া বিষয়ে টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুই নেতার আলাপ নিয়ে শনিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট শি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র বিষয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের গুরত্বের কথা বলেছেন এবং শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।”
“যুক্তরাষ্ট্রের মত চীনও কোরীয় উপদ্বীপ পরমাণুঅস্ত্র মুক্ত করে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে চায়”, ফোনে একথাও জোর দিয়ে বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি।
বিশ্বের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র চীন।
শি-ট্রাম্প ফোনালাপ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ‘উস্কানিমূলক আচরণ’ অবশ্যই বন্ধ করা হবে মর্মে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে দেশটির উপর জাতিসংঘের নতুন করে কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর উভয় পক্ষ পরস্পরকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
জাবাবে প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত দ্বীপ গুয়ামের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় উত্তর কোরিয়া।
শুক্রবার নতুন করে আবারও উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, যদি গুয়ামে কিছু ঘটে তবে উত্তর কোরিয়াকে ‘বড় ধরনের সমস্যার’ মুখে পড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
যদিও একইসঙ্গে তিনি সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চান বলেও জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “যদি আমেরিকা তাদের দুখঃজনক পরিণতি দেখতে না চায় তবে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য আলোচনা এবং সঠিক আচরণ করাই বরং ভালো হবে।”
ট্রাম্প কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করে পিয়ংইয়ং।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার গুয়ামের গভর্নরকে ফোন করে দ্বীপের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন ট্রাম্প।
কোরীয় উপদ্বীপের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া এবং জার্মানি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।