প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আপত্তি সত্বেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি বিল যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে।
Published : 26 Jul 2017, 12:42 PM
মঙ্গলবার পাস হওয়া বিলটিতে রাশিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর কথিত হস্তক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নতুন এই বিল ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আশাকে জটিলতায় ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত স্বাক্ষরের জন্য বিলটি প্রেসিডেন্টের কাছে যাওয়ার আগে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেও পাস হতে হবে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে। তবে প্রেসিডেন্ট এতে ভেটো দেবেন কি না তা পরিষ্কার হয়নি।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, “যদিও প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়া, ইরান ও রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে, তারপরও হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বিলটি পরীক্ষা করে দেখবে এবং চূড়ান্ত যে বিলটি প্রেসিডেন্টের ডেস্কে আসবে তার জন্য অপেক্ষা করবে।”
বিলটিতে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস প্রকল্পের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে; এতে রাশিয়া থেকে জার্মানির পথে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন প্রকল্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিলটিতে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার ওপরও নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে।
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে বিলটি ৪১৯-৩ ভোটে পাস হওয়ার পর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেছেন, “এই নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব বিপজ্জনক প্রতিপক্ষদের দুর্বল করে আমেরিকাকে নিরাপদ রাখবে।”
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত ছয় মাস ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি ট্রাম্পকে সারাক্ষণ তাড়া করে ফিরছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের পথ ধরে তিনি ক্ষমতায় বসেছেন বলে অভিযোগ আছে।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও সিনেটের তদন্ত চলছে। যদিও ট্রাম্প শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন; রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয়নি বলে জানিয়েছে।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ নিজেদের সীমানাভুক্ত করে নেয়ার পর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে বহিস্কার করে রাশিয়ার মালিকানাধীন দুটি কম্পাউন্ড জব্দ করেন।