রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিল সইয়ের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প দ্বার খোলাই রেখেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
Published : 24 Jul 2017, 10:22 PM
কংগ্রেসের সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নেতারা রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আইন করতে একমত হওয়ার পর রোববার হোয়াইট হাউজ একথা জানায়। যদিও ট্রাম্প নিজে এখনও বিল সইয়ের প্রতিশ্রুতি দেননি।
কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা গত শনিবার রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিতে একটি বিলের ব্যাপারে রিপাবলিকানদের সঙ্গে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। ওই বিলে রাশিয়ার ওপর থেকে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা অনেক বেশি সীমিত করা হবে বলেও জানান তারা।
এরপরই এবিসি নিউজে একটি অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডারস বলেন, “আইনটি এখন যেখানে আছে সেটিকে আমরা সমর্থন করি। ইউক্রেইন সংকটের সমাধান পুরোপুরি না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর ওই কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলো চাপানোর জন্য সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাব।”
নিষেধাজ্ঞা বিল নিয়ে মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদে ভোট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিলের আওতায় ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের জন্য শাস্তি হিসাবে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “বিলটি যে পথে আগাচ্ছে তাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন আছে। কিন্তু বিলটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত এটিকে চূড়ান্ত বিবেচনাধীনে নেওয়া হবে না।”
ট্রাম্পের নতুন যোগাযোগ পরিচালক এন্থনি স্কারামুচি সিএনএন কে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এখনও বিলটি সইয়ের সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তার ধারণা, ট্রাম্প খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এরইমধ্যে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করে সিনেটের বিলের কিছু অংশের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক করেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পদক্ষেপ নিতে গেলে ট্রাম্পকে কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হবে- এ বিষয়টি।
মস্কোর সঙ্গে ঊষ্ণ সম্পর্ক রেখে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প শুরু থেকেই রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দুই দলের বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের আঁতাতের অভিযোগও তার পিছু ছাড়ছে না। যদিও ট্রাম্প এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।
নতুন নিষেধাজ্ঞার বিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত থাকায় ট্রাম্প বিলটি সই নাও করতে চাইতে পারেন বলে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তবে ট্রাম্প বিলে ভেটো দিলেও এটি যথেষ্ট ভোট পেয়েই পাস হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুই সিনেটর।