ব্যাপক প্রহরাধীন ইসরায়েলি দূতাবাসের কম্পাউন্ডে রোববার এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, স্ক্রুড্রাইভার নিয়ে হামলা চালানো এক জর্ডানিকে গুলি করে হত্যা করেছে এক ইসরায়েলি রক্ষী।
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবর্ষণের আগে মেরামতের কাজ করতে একটি আসবাব কোম্পানির এক জর্ডানি কর্মী দূতাবাসের ভিতরে ঢুকেছিল।
অনবধানতাবশত দ্বিতীয় আরেক জর্ডানিও গুলিতে নিহত হয় বল জানিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় ওই ইসরায়েলি রক্ষী আহত হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, দূতাবাসের একটি আবাসিক ভবনে কাজ করছিল হামলাকারী ওই কাঠমিস্ত্রি।
নিহত দ্বিতীয় জর্ডানিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তাকে ভবনটির মালিক বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
১৯৯৪ সালে ইসরায়েল-জর্ডান শান্তিচুক্তি হওয়ার পর থেকে এটিই দুদেশের মধ্যে ঘটা সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা।
ঘটনার পর আম্মানের অভিজাত রাবিয়েহ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত অত্যন্ত সুরক্ষিত ইসরায়েলি দূতাবাসটির আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয় জর্ডানি পুলিশ।
ঘটনার পরপর দূতাবাসটি থেকে নিজেদের সব কর্মীকে সরিয়ে নেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
জর্ডানের পুলিশ জানিয়েছে, ইসরায়েলি দূতাবাসের ব্যবহার করা একটি আবাসিক ভবনে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন পূর্ব জেরুজালেমের হারাম আল শরীফের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে।
ইসরায়েলের ওই নিরাপত্তা পদক্ষেপের প্রতিবাদে শুক্রবার আম্মানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করে কয়েক হাজার জর্ডানি।
হারাম আল শরীফের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। হারাম শরীফের কাছে দুই ইসরায়েলি পুলিশকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর সেখানে মেটাল ডিটেক্টর বসায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করলে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গত কয়েকদিনে অন্তত সাতজন নিহত হয়।
১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৬৭-র আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগ পর্যন্ত পূর্ব জেরুজালেম জর্ডানের অধীনে ছিল। দেশটি এখনও হারাম আল শরীফের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োজিত আছে।