সৌদি রাজতন্ত্রের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বলে খবর সৌদি গেজেটের।
তারা বলছে, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে বৈধ হজ পারমিট থাকা কাতারের নাগরিক ও দেশটিতে থাকা যে কোনো অভিবাসী হজ পালন করতে পারবে।
এছাড়া কাতারের নাগরিকরা যে কোনো সময় ওমরাহও পালন করতে পারবে বলে বিবৃতিতে জানানো হলেও এজন্য তাদের কাতার এয়ারলাইনস ছাড়া অন্য যে কোনো কোম্পানির বিমানে আসার শর্ত দেওয়া হয়।
আর হজ পালনে সৌদি আরবে ঢোকা ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর ব্যবহার করতে হবে।
এতে বিবৃতির বরাত দিয়ে বলা হয়, কাতারের নাগরিক ও অভিবাসীদের হজ ও ওমরাহ পালন করতে হলে তাদের শুধু জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের মাধ্যমে সৌদি আরবে ঢুকতে বা বের হতে হবে।
কাতার ‘সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা’ অভিযোগ তুলে গত ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন ও মিশর দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। যদিও কাতার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত ২৩ জুন ইয়েমেন ছাড়া বাকি চার দেশ কাতারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ১৩টি শর্তের একটি তালিকা দোহায় পাঠায়।
শর্তগুলোর মধ্যে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের পাশাপাশি কাতার সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়ার কথাও রয়েছে।
এছাড়া কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়া এবং দেশটিতে অবস্থান করা ওই চার দেশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের দাবিও জানানো হয়।