যে আইনের আওতায় ধর্ষণকারীর মাফ পাওয়ার সুযোগ ছিল, তা মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মন্ত্রিসভা রদ করেছে বলে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ধর্ষিতর সামাজিক সম্মান রক্ষার কারণ দেখিয়ে জর্ডানে ওই আইনটি রাখা হয়েছিল।
আইনটির আওতায় ধর্ষণকারী ধর্ষিতকে বিয়ে করে তিন বছর একসঙ্গে থাকলেই জেল খাটা এড়াতে পারত।
ধর্ষণকারীকে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়ার পর ধর্ষিত নারীর আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে দেশটিতে।
এরপর জর্ডানের মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনটি বিলোপের দাবি তুললে গত বছর আইনে সংশোধনী আনা হয়। তাতে আইনটি দাঁড়ায় এরকম- ধর্ষিতের বয়স যদি ১৫ থেকে ১৮ বছর হয় এবং যৌণ সম্পর্কে যদি তার সম্মতি ছিল বলে ধরে নেওয়া যায়, তবেই ধর্ষণকারী বিয়ের সুযোগ নিয়ে জেল এড়াতে পারবে।
কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট ছিল না মানবাধিকারকর্মীরা। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারি একটি কমিটি আইনটি বিলোপের পক্ষে মত দেয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি বিলোপের সিদ্ধান্ত হয়।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মানবাধিকারকর্মী লায়লা নাফা জর্ডান টাইমসকে বলেছেন, অবশেষে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হল।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য মুসলিম দেশগুলোতেও এই ধরনের আইন রয়েছে এবং তার বিরোধিতাও রয়েছে। লেবাননেও এই ধরনের আইন আগামী মে মাসে রদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।