এইচ-১বি ভিসা সংস্কারে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

ফেডারেল কন্ট্রাক্টে আমেরিকার কোম্পানিগুলোকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া এবং প্রযুক্তিখাতে বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রচলিত এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা কঠোর করার নির্বাহী আদেশ সই করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ প্রতিশ্রুতি পালনে এক ধাপ এগোলেন।

>>আইএএনএসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2017, 02:02 PM
Updated : 19 April 2017, 02:02 PM

সিএনএন এর খবরে বলা হয়, উইসকনসিন প্রদেশে একটি যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা পরিদর্শনের সময় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্প তার ‘বাই আমেরিকা, হায়ার আমেরিকা’ (আমেরিকার পণ্য কিনুন এবং আমেরিকানদের নিয়োগ দিন) আদেশ স্বাক্ষর করেন।

এ আদেশের মাধ্যমে পররাষ্ট্র, বিচার, স্বদেশ নিরাপত্তা এবং শ্রম বিভাগের প্রধানদের এইচ-১বি ভিসা প্রকল্পে সংস্কার প্রস্তাব আনতে বলা হয়েছে। যাতে ‘সবচেয়ে দক্ষ অথবা সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া’ কর্মীরাই কেবলমাত্র বিদেশ থেকে এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারে।

এর পাশাপাশি ‘ওয়ার্কিংভিসা’ নিয়ে প্রতারণা বা এই সুযোগের অপব্যবহার রোধে নতুন নিয়ম ও দিকনির্দেশনার প্রস্তাব দিতেও বলা হয়েছে।

ট্রাম্প পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, বর্তমানে যেভাবে লটারির মাধ্যমে এইচ-১বি ভিসা দেওয়া হয় তিনি তার সঙ্গে একমত নন।

তিনি বলেন, “বর্তমানে এইচ-১বি ভিসা সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় লটারির মাধ্যমে দেওয়া হয়, যা ভুল প্রক্রিয়া। বরং সবচেয়ে দক্ষ এবং সবচেয়ে উচ্চ মজুরি পাওয়া ব্যক্তিদের এদেশে আসতে দেওয়া উচিত। যদিও কখনওই তাদের আমেরিকার নাগরিকদের পরিবর্তে ব্যবহার করা উচিত না।”

“এ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাতে চাই। তা হল: আমরা আমাদের কর্মীদের সুরক্ষা দিতে দেব, আমাদের কর্মসংস্থানকে রক্ষা করব এবং চূড়ান্তভাবে আমেরিকাকে সবার প্রথমে রাখব।”

যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসার বার্ষিক কোটা ৮৫ ‍হাজার। যেগুলোর মধ্যে ২০ হাজার স্নাতোকত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য সংরক্ষিত।

সিএনএন জানায়, এ বছর ৩ এপ্রিল থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। মাত্র পাঁচদিনে প্রয়োজনীয় আবেদন জমা পড়ে যায়।

এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মত মাত্র পাঁচ দিনে আবেদনের সুযোগ শেষ হয়ে গেল। এ বছর এক লাখ ৯৯ হাজার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, “এ নির্বাহী আদেশ ‘আমেরিকার পণ্য কিনুন এবং আমেরিকানদের নিয়োগ দিন’ নীতিতে সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি আনবে। ট্রাম্পের স্বপ্ন এমন একটি সরকার ব্যবস্থা গঠন করা যারা দেশ নির্মাণ করা আমেরিকান শ্রমিকদের হয়ে কাজ করবে। এটি সেই স্বপ্ন পূরণেরই ভিত্তিপ্রস্তর।”