সিরিয়ায় আইএস নিয়ন্ত্রিত বিমান ঘাঁটি বিদ্রোহীদের দখলে

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্তিকেন্দ্র রাক্কার নিকটবর্তী একটি বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে সিরিয়ার যু্ক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 06:28 AM
Updated : 27 March 2017, 07:00 AM

আইএসের দখল থেকে এই বিমান ঘাঁটিটি ছিনিয়ে নেওয়াকে নিজেদের স্বঘোষিত রাজধানী রাক্কা থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে বিতাড়িত করার পথে বড় ধরনের অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে, জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহী জোট বাহিনী দ্য সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ) এর মুখপাত্র তালাল সেল্লো জানিয়েছেন, রোববার জঙ্গিদের কাছ থেকে তাবকা বিমানবন্দরের দখল ছিনিয়ে নিয়েছে এসডিএফ।

সামরিক বিমানবন্দরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফের যোদ্ধারা রাক্কার দিকে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।

তবে ওই এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসামরিকদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলো।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গত সপ্তায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় ওই এলাকায় অন্তত ৮৯ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে জোট বাহিনী এসডিএফের যোদ্ধাদের বিমানযোগে উড়িয়ে নিয়ে আইএসের অবস্থানের পেছনে নামিয়ে দেয়। তারপর থেকে এটিই এসডিএফের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

ইউফ্রেতিস নদীর ওপর সিরিয়ার বৃহত্তম বাঁধ তাবকা ও সংলগ্ন তাবকা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে আক্রমণটি শুরু করেছিল এসডিএফ। এই আক্রমণের অংশ হিসেবেই তাবকা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে এল। 

ইউফ্রেতিস নদীর তীরে এসডিএফের এক যোদ্ধা। রয়টার্স

এই বাঁধ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ওই অঞ্চলের শহরগুলোতে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া বাঁধের অবস্থানও কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাঁধের কমপ্লেক্সটি আইএসের একটি সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এখান থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীটির নেতারা সিরিয়ার বাইরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে থাকে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।

তাবকা বাঁধটি ভেঙে পড়তে পারে, আইএস এমন সতর্কতা জানানোর পর ওই অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছু না হওয়ায় বাঁধটি অক্ষত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

২০১৪ সালে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে হটিয়ে তাবকা বিমানবন্দরের দখল নিয়েছিল আইএস। বিমানবন্দরটির দখল নেওয়ার পর জঙ্গিরা আটক সেনাদের গণশিরশ্ছেদ করেছিল।