২৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। যার মাধ্যমে ৪৪ বছরের সম্পর্কে ইতি টানা হবে।
শনিবারের বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ইইউর পতাকা ছিল।
গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে হামলায় নিহত চারজনের স্মরণে বিক্ষোভকারীরা প্রথম এক মিনিট নিরবতা পালন করে।
তারা ‘তাহলে পরিকল্পনা কি’ ‘ব্রেক্সিট বন্ধ করো’ স্লোগান দিতে দিতে ওয়েস্টমিনিস্টারে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে অগ্রসর হয়।
৬০ বছর আগে ২৫ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয় সংগঠিত হয়েছিল।
লন্ডনে ব্রেক্সিট বিরোধী বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ‘হ্যাপি বার্থডে ইইউ’ লেখা প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
নয় মাস আগে ঐতিহাসিক গণভোটে ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে রায় দেয় যুক্তরাজ্যবাসী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট ব্রেক্সিটের পক্ষে এবং ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোট বিপক্ষে পড়ে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের পর যুক্তরাজ্যই প্রথম দেশ, যারা এই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে; এই প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “ভোটের ব্যবধান এত কম, কিভাবে কেউ এটাকে জনগণের ইচ্ছা বলছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না।”
“ব্রেক্সিটের কারণে পরিবেশগত, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।একটি ভয়ঙ্কর ভুল হয়ে গেছে, কিন্তু দায়মোচনের সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি।”