নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি প্রীত ভারারা বরখাস্ত

পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানানোয় জোর করে বরখাস্ত করা হয়েছে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় বংশোদ্ভুত অ্যাটর্নি প্রীত ভারারাকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2017, 06:41 AM
Updated : 12 March 2017, 06:56 AM

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে নিয়োগ পাওয়া ভারারা’র সঙ্গে আরও ৪৫ জন কেন্দ্রীয় কৌঁসুলি বা ডিস্ট্রিক্ট এটর্নিকে শুক্রবার পদত্যাগের অনুরোধ জানান যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা বয়েন্টে।

কিন্তু এ আহ্বানে সাড়া দেন নি প্রীত ভারারা। এরপরই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে এক টুইটে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার ট্যুইটার বার্তায় তিনি লেখেন, “আমি পদত্যাগ করিনি। কিছুক্ষণ আগে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউ ইয়র্কে মার্কিন অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করতে পারা আমার পেশাগত জীবনে অত্যন্ত সম্মানের ছিল।”

নিউ ইয়র্কে সরকারি পর্যায়ে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সফলভাবে মামলা লড়ার জন্য ভারারা সুপরিচিত। তার কার্যালয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যবসায়িক এবং অপরাধ মামলাও পরিচালনা করছে।

গত নভেম্বরে ভারারা ট্রাম্প টাওয়ারে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট তাকে স্বপদে  কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন এবং তিনি তাই করবেন।

কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথাঅনুযায়ী গত শুক্রবার ওবামা নিযুক্ত কৌসুলিদেরকে পদত্যাগ করতে বলার পর অনেকে পদত্যগ করলেও ভারারা তা না করে কাজ চালিয়ে যান। এরপরই শনিবার তাকে বরখাস্ত করা হয়।

“আচমকা অ্যাটর্নিদেরকে বরখাস্তের এ পদক্ষেপ আরেকবার একথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখে রয়েছে”, এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন, সিনেট বিচার বিভাগের চেয়ারম্যান প্যাট্রিক লিয়াহি।

আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা প্রায়শই এটর্নিদেরকে তাদের জায়গায় নতুন প্রার্থীর নিয়োগ সিনেটে চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে বলতেন।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াশিংট পোস্ট পত্রিকা বলেছে, প্রশাসনিক ক্ষমতা সুদৃঢ় করতে ফেডারেল কৌঁসুলিদের পুরো সেটই বদলে ফেলতে চান ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিফেন ব্যানন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস।

কিন্তু তা করতে গিয়ে একসঙ্গে ৪০ জনের বেশি অ্যাটর্নিকে বদল করার সিদ্ধান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের দেশের কানুনি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতায় ছেদ পড়বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।