উত্তর কোরিয়া ছেড়ে আসা ওই দুই মালয়েশীয় জাতিসংঘের কর্মচারী বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকারি একটি সূত্র।
ওই দুজন জাতিসংঘের বিশ্ব খ্যাদ্য কর্মসূচীর (ডব্লিউএফপি) কর্মী বলে জানিয়েছেন মালয়েশীয় সূত্রটি। তবে তারা কীভাবে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে এসেছেন তা বিস্তারিত জানাননি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই কিম জং ন্যামের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্রে করে সম্প্রতি মালয়েশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ন্যামকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বিষাক্ত রাসায়নিক ভিক্স নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগে হত্যা করা হয়। জাতিসংঘের নিষিদ্ধ গণবিধ্বংসী অস্ত্রের তালিকায় এই রাসায়নিকটির নাম আছে।
এ ঘটনার জন্য মালয়েশিয়া সরাসরি উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেনি, কিন্তু এ ঘটনার জন্য উত্তর কোরিয়াই দায়ী বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
এ ঘটনায় নিজেদের দায় জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু ন্যামের হত্যা ও তার মৃতদেহের দাবি নিয়ে গত দুই সপ্তাহে মালয়েশিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক ক্রমাগতভাবে নাজুক হয়ে উঠেছে।
ন্যামের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্রে করে বাড়তে থাকা বিরোধের জেরে মঙ্গলবার পরস্পরের নাগরিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর কোরিয়া ও মালয়েশিয়া।
এতে মালয়েশিয়ার ১১ নাগরিক উত্তর কোরিয়ায় ও উত্তর কোরিয়ার হাজার খানেক নাগরিক মালয়েশিয়ায় আটকা পড়ে।