রাখাইনে সংঘর্ষে মিয়ানমারের দুই সেনা আহত

মিয়ানমারের অশান্ত রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই সেনা আহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2017, 09:25 AM
Updated : 19 Feb 2017, 09:30 AM

শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যের কাউন্সেলর এ খবর দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ সীমান্তে সশস্ত্র একটি দলের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সংঘর্ষে দুই সেনা আহত হন।

এতে আরেো বলা হয়, “বুথিদায়ুং শহর সংলগ্ন সীমান্তের ৫৬ ও ৫৭ নং পিলারের মধ‌্যবর্তী স্থানে শ্রমিকরা বেঁড়া লাগানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বাংলাদেশের অংশে অবস্থিত পাহাড় থেকে কালো পোশাক পরা প্রায় ৩০ জন সশস্ত্র ব‌্যক্তি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করে।”

মিয়ানামার নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা গুলিবর্ষণের মুখে ওই সশস্ত্র ব‌্যক্তিরা তাদের অবস্থান ছেড়ে চলে যায় বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে হামলাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কতোজন সদস‌্য আহত বা নিহত হয়েছেন তার খবর নেওয়া হচ্ছে বলে সংক্ষিপ্ত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রকিবুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের কোনো খবর আমরা জানি না। সীমান্তে বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) যথাযথ নজরদারি আছে। এ ধরনের কোনো খবর আমাদের জানা নেই।”

এই বিষয়ে মন্তব‌্যের জন‌্য রয়টার্সের পক্ষ থেকে মিয়ানমার স্টেট কাউন্সিলর এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো মন্তব‌্য করেনি।

গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকার জানিয়েছিল, অশান্ত রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে এবং সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে চার মাস ধরে চলা নিরাপত্তা অভিযান শেষ হয়েছে। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনায় তাদের ওই দাবির সত‌্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

৯ অক্টোবর রাখাইনের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একটি নিরাপত্তা চৌকিতে বিদ্রোহীদের এক হামলায় মিয়ানমারের নয় সীমান্ত পুলিশ নিহত হন। তার পরপরই উত্তর রাখাইনের বিদ্রোহীদের দমনের নামে রোহিঙ্গা বিরোধী সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার। ওই হামলার জন‌্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে মিয়ানমার সরকার।

জাতিসংঘের হিসাবে, অভিযান শুরুর পর প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় নিতে বাধ‌্য হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গা বিরোধী দমনাভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে এবং জাতিগত নির্মূলের মতো ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে।