সোমবার তুরস্কের সম্প্রচারমাধ্যম এ হাবের-এ প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে কারতুলমাস বলেন, “শুধুমাত্র একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ইস্তাম্বুলের রেইনা নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। হামলার সঙ্গে একটি গোয়েন্দা সংগঠনও জড়িত ছিল। ওটা পূর্বপরিকল্পিত এবং খুবই সংগঠিত হামলা ছিল।”
এ হামলায় জড়িত সন্দেহে তুরস্ক উইঘুর বংশোদ্ভূত দুই চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করে।
হামলার মূল সন্দেহভাজন সম্ভবত তার্কিক উইঘুর মুসলিম বলে গত সপ্তাহে জানান কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে হামলাকারী একা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হলেও পরে এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেন তারা।
হামলার ঘটনায় আরও কয়েকজনকে তুর্কি পুলিশ আটক করেছে। তবে মূল সন্দেহভাজন রয়েছে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরেই।
বসফরাসের তীরে ইস্তাম্বুলের ইউরোপীয় অংশে ওই নাইট ক্লাবে হামলায় ৩৯ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন তুর্কি নাগরিক, বাকী ২৮ জন বিদেশি।
নিহতদের মধ্যে সৌদি আরবের সাতজন, ইরাকের চারজন, লেবাননের তিনজন এবং জর্দান, ভারত ও মরক্কোর ২ জন করে নাগরিক রয়েছেন।
এছাড়া সিরিয়া, ইসরায়েল, ফ্রান্স, তিউনিসিয়া, বেলজিয়াম, কুয়েত, কানাডা ও রাশিয়ার একজন করে নাগরিক নিহত হয়েছেন।
হামলায় অন্তত ৬৯ জন আহত হয়।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, সিরিয়ায় তুরস্কের সেনা মোতায়েনের প্রতিশোধ নিতেই তারা ওই হামলা চালিয়েছে।