বিবিসি’র খবরে বলা হয়, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা দিকে শুনানির জন্য সিনেট ভবনে পৌঁছান রৌসেফ।
এ সময় তার প্রায় দুইশ সমর্থক ভবনের বাইরে জড় হয়েছিল এবং তারা ‘কাম ব্যাক দিলমা’ বলে শ্লোগান দেয়।
স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের শুরুতে রৌসেফ সিনেটরদের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি পাঁচ কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অতীতে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তার অপ্রতিরোধ্য ভূমিকার কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
তিনি বলেন, শত নির্যাতনের পরও তিনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। সমাজে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি লড়াই করেছেন।
রৌসেফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকাকালে ক্রমবর্ধমান ঘাটতি লুকাতে তিনি বাজেটে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে রৌসেফ তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়াকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন এবং একে ‘পার্লামেন্টারি ক্যু’ বলে অভিহিত করেন।
মে মাসে ব্রাজিলের সিনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে রৌসেফকে অভিসংশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাকে সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত হয়।
ছয়মাস ধরে সিনেটে প্রেসিডেন্টের অভিশংসন চলবে এবং এই পুরো সময়জুড়ে রৌসেফ বরখাস্ত থাকবেন।
এ সময় ভাইস-প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
রৌসেফকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, নাকি তাকে পুনর্বহাল করা হবে সে বিষয়ে এ সপ্তাহে ব্রাজিলের সিনেটররা ভোট দেবেন।
ব্রাজিলের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট সিনেটে রৌসেফকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দিতে অন্তত ৫৪টি ভোট অভিসংশনের পক্ষে পড়তে হবে।
যদি তিনি স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হন তবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট তেমের রৌসেফের মেয়াদ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে রৌসেফের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।