যুক্তরাজ্যে ‘ব্রেক্সিট’ অর্থাৎ, ইইউ ত্যাগের পক্ষের ভোট নড়িয়ে দিয়েছে রাজনীতির ভিত। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এখন চ্যালেঞ্জের মুখে বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনও।
Published : 27 Jun 2016, 08:19 PM
পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার ওপর চাপ বাড়ছে। লেবার পার্টির ছায়ামন্ত্রিসভার এক সদস্য প্রথমে বরখাস্ত হওয়ার পর করবিনকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন দলটির আরও ১১ নেতা।
কিন্তু এ গণপদত্যাগেও টলছেন না করবিন। অনড় অবস্থান জানিয়ে দিয়ে করবিন বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
দলে জেরেমি করবিনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। অনেকেরই অভিযোগ, গণভোটে লেবার দলের নেতৃত্বে নিষ্প্রভ ছিলেন করবিন।
ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি বেন রেবাবার করবিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করায় তিনি হিলারিকে বরখাস্ত করেন। এরপরই বিদ্রোহ দেখা দেয় লেবার পার্টিতে।
করবিনকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পদত্যাগের হুমকি দেন ছায়ামন্ত্রিসভার সামনের সারির ‘অর্ধেক’ নেতা। পরে দলের শীর্ষ ৩০ আইনপ্রণেতার ১১ জন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান।
কিন্তু এতেও বিচলিত না হয়ে করবিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আজকের আমার ছায়ামন্ত্রিসভার সদস্যদের এ পদত্যাগে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না যারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়জুক্ত করেছে। আর দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ সমর্থক যারা আমাকে তাদের প্রতিনিধি করে এখানে পাঠিয়েছে, তাদের সঙ্গেও আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না।”
তিনি আরও বলেন, “যারা লেবার পার্টির নেতৃত্ব পরিবর্তন করতে চায় তাদেরকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে দাঁড়াতে হবে। সেই নির্বাচনে আমিও প্রার্থী থাকব।”
গত বছর নির্বাচনে তৃণমূল পর্যায়ের লেবার সদস্যদের বিপুল সমর্থন নিয়ে দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন করবিন।
কিন্তু এ মাসের গণভোটে ভোটারদেরকে ইইউ’য়ে যুক্তরাজ্যের থাকার পক্ষে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য করবিন লেবার এমপি’দের তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন।