মিশরের ফরেনসিক মেডেসিন অথোরিটির প্রধান হাশিম আব্দুল হামিদ বিমানটির আরোহীদের খণ্ড-বিখন্ড শরীরের প্রাথমিক পরীক্ষা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, এমন প্রতিবেদন নাকচ করেছেন।
তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে প্রকাশিত সবকিছুই পুরোপুরি মিথ্যা।”
তবে এর আগে এক ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার বিধ্বস্ত বিমানটির আরোহীদের খণ্ড-বিখন্ড শরীর অংশ দেখে ধারণা করা যায় যে, বিমানের ভেতরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেন, “উদ্ধার করা দেহাংশগুলো খুবই ছোট। এর একমাত্র যৌক্তিক ব্যাখ্যা হলো বিস্ফোরণ।”
রোববার পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর থেকে প্রায় ২৩ ব্যাগ দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানান তিনি।
যদিও আরেকজন জ্যেষ্ঠ ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন, এখন পর্যন্ত অল্প কিছু দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে এখনই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ অনুমান করা কঠিন।
ওদিকে, মিশরের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বিবিসি’কে বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমানের ভেতরে বিস্ফোরক দ্রব্য থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার ভোরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে কায়রোগামী ইজিপ্টএয়ারের এ৩২০ মডেলের একটি বিমান মিশরের আকাশ সীমায় প্রবেশের পরপরই নিখোঁজ হয়ে যায়।
পরে ব্যাপক তল্লাশি অভিযানে ভূমধ্যসাগরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। বিমানটিতে ৬৬ জন আরোহী ছিল, যাদের সবাই মারা গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার তিন মিনিট আগে বিমানের ভেতরের বেশ কয়েকটি অংশে ধোঁয়া দেখা যায়। কি কারণে এই ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা বিস্ফোরকদ্রব্য রেখে বিমান উড়িয়ে দেওয়া এবং যান্ত্রিক ত্রুটি উভয় সম্ভাবনা মাথায় রেখেই তদন্ত করছেন।