আফগান হাসপাতালে বোমাবর্ষণ যুদ্ধাপরাধ নয়: পেন্টাগন

উত্তর আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর বোমাবর্ষণে একটি দাতব্য হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে ৪২ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ‘যুদ্ধাপরাধ নয়’ বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2016, 07:49 AM
Updated : 30 April 2016, 07:50 AM

বিবিসি বলছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে পেন্টাগনের মুখপাত্র জেনারেল যোশেফ ভোটেল বলেছেন, “শোচনীয় ওই হামলাটি মানুষের ভুল ও কারিগরি ত্রুটির কারণে ঘটেছে।”

চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান `মিতসাঁ সঁ ফ্রঁতিয়া’(এমএসএফ) পরিচালিত কুন্দুজের ওই হাসপাতালটিকে ‘ভুল করে’ তালেবান যোদ্ধাদের অধিকৃত একটি ভবন মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে হামলা চালানো হয়।

জেনারেল ভোটেল বলেন, “কিন্তু ভুলটি অনিচ্ছাকৃত হওয়ায়, এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না।”

তিনি আরো বলেন, “তদন্তে দেখা গেছে, ঘটনাটি অনেকগুলো ভুলের কারণে ঘটেছে। এর মধ্যে মানবিক ভুল, প্রক্রিয়াগত ভুল ও যন্ত্রপাতির অকার্যকারিতাও আছে। যারা হামলাটি পরিচালনা করেছে তাদের কেউ জানতো না তারা একটি হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “মূল বিষয় হচ্ছে এটি অনিচ্ছাকৃত ছিল, সেই কারণে এটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে না।”

গেল বছরের ৩ অক্টোবর ভোরারাতে চালানো এ হামলায় ৪২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত এবং ৩৭ জন আহত হলেও কারো বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা হচ্ছে না।

তার বদলে, যারা শাস্তি পেয়েছেন তাদের কমান্ড থেকে বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়ে ‘তিরস্কারের চিঠি’ ধরিয়ে দেওয়া হবে, এতে তাদের সামরিক পেশার সমাপ্তি ঘটতে পারে। 

কিন্তু ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান এমএসএফ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগ এনেছিল।

এমএসএফের ওই হাসপাতালটিতে ১০ মিনিট ধরে বিমান হামলা চালানোর পর হাসাপাতালটির ডাক্তাররা হামলা থামানোর আবেদন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ফোন করেছিলেন। কিন্তু এর আরও ২০ মিনিট পর হামলা বন্ধ করা হয়েছিল।

এমএসএফ বলেছে, কেন বোমাবর্ষণ থামানো হলো না তা ‘বোধগম্য’ নয়। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানটি আবারও ঘটনাটির স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমএসএফের হাসপাতালে চালানো হামলার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছিল, তদন্তে হামলাটি ‘সচেতনভাবে’ চালানো হয়েছে প্রমাণিত হলে তা ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে গণ্য হবে।