এ বছর ইউরোপে যাওয়ার পথে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তত ৩৭৪ জন নৌকাডুবিতে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন (আইওএম)।
ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টায় থাকা শরণার্থীরা ২০১৫ সাল থেকে সাগরপথেই তুরস্ক থেকে গ্রিসে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে।
সর্বশেষ সোমবারের নৌকাডুবির ওই ঘটনায় শরণার্থীরা তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল্টিনোলুক থেকে যাত্রা করার পর লেসবসের দুই মাইলের মধ্যে তাদের নৌকা উল্টে যায় বলে জানিয়েছে হুরিয়াত পত্রিকা।
এর আগে আরও দক্ষিণে তুরস্কের ইজমির প্রদেশের দিকিলির কাছে নৌকা ডুবির আরেকটি ঘটনার খবর পত্রিকাটি অস্বীকার করেছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল ইউরোপে শরণার্থীর সংখ্যা কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য তুরস্কে পৌঁছানোর সময়েই নৌকাডুবিতে শরণার্থী নিহতের এ খবর এল।
আইওএম এর হিসাবমতে, এ বছর এখন পর্যন্ত গ্রিসে পৌঁছেছে প্রায় ৬৯ হাজার শরণার্থী। আর গতবছরের পুরোভাগে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ লাখ ৫৪ হাজার।
আইওএম বলেছে, এ বছর গ্রিসে পৌঁছানো শরণার্থীদের প্রায় অর্ধেকই সিরীয়। কিন্তু আলেপ্পোয় সরকারি বাহিনীর অভিযানের মুখে পালিয়ে যাওয়া হাজার হাজার সিরীয়কে তুরস্কে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
কিলিস সীমান্ত পারাপার এলাকায় এ পর্যন্ত জড়ো হওয়া ৩০ হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করার ইইউ এর আহ্বান উপেক্ষা করে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে তুরস্ক। শরণার্থীদেরকে প্রয়োজনবোধে ঢুকতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু।