রোববার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইইউ এর সঙ্গে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছেন। এ চুক্তিকে ‘নব সূচনা’ বলে বর্ণনা করেছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতগলু।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ইইউ’র সদস্যভূক্ত হওয়ার পথে আজকের (রোববার) দিনটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এ নব সূচনার জন্য আমি ইউরোপের সব নেতাদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ।”
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করা ২২ লাখ সিরীয় শরণার্থীর জীবনযাত্রা মান উন্নয়নের জন্য ইইউ তুরস্ককে তিন কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য দেবে। যাতে ওই সব শরণার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে গ্রিস হয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে প্রবেশের চেষ্টা না করে।
তবে ইইউ এ অর্থ দুই বছরে দিতে চাইছে। আর তুরস্ক প্রতি বছর ওই পরিমাণ অর্থ চাইছে। এ বিষয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী ধাপে ধাপে এ অর্থ দেওয়া হবে। তবে একবারে কি পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি।
অলন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “তুরস্ক শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে সক্ষম হলে এবং তারা আর ইউরোপে না আসলে ওই সব শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার বিনিময়ে তুরস্ক ইউরোপের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার যোগ্য এবং তাদের দাবি যুক্তিযুক্ত।”
চুক্তির ফলে ইউরোপে প্রবেশ করা শরণার্থীদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং সন্দেহভাজনদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার কাজ আরও সহজ হবে বলেও মনে করেন অলন্দ।
কয়েক বছর ধরে ইউরোপের প্রতিবেশীদের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক বেশ শীতল। এই শীতল সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে আঙ্কারা ইইউভূক্ত হওয়া নিয়ে স্থগিত হয়ে যাওয়া আলোচনা আবার নতুন করে শুরু করতে চায়।
যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, খুব শিগগির তুরস্কের ইইউ সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে তুরস্ক নতুন চুক্তিতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সক্ষম হলে দেশটির নাগরিকরা এক বছরের মধ্যেই ইউরোপের ভিসা-বিহীন সেনজেন জোনের আওতায় ভ্রমণের সুযোগ পাবে।