ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গাজায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

চলমান ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার মুখে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 10 Oct 2015, 05:30 AM
Updated : 10 Oct 2015, 06:21 AM

পাশাপাশি শুক্রবার আরো একটি সহিংসতার ঘটনায় দক্ষিণ ইসরায়েলে এক ইহুদির ছুরিকাঘাতে চার আরব আহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা জলন্ত টায়ার চালিয়ে দিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করতে করতে ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে চলে এলে সেনারা গুলিবর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ছয়জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলো। 

গাজার ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেম ও ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করতে বিক্ষোভে নামে। ওই দুটি এলাকায় গত ১০ দিন ধরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। সহিংসতায় এ পর্যন্ত চার ইসরায়েলি ও অন্তত আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  

দুপক্ষের মধ্যে এই উত্তেজনার শুরু জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত আল আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে। মক্কা-মদীনার পর আল আকসা, মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান। অপরদিকে মসজিদের একপাশের পশ্চিম দেওয়াল ইহুদিদের অন্যতম পবিত্র স্থান।

পুরো এলাকাটি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকাটির ধর্মীয় কর্তৃত্ব মুসলিমদের হাতে। এলাকাটিতে ইহুদিদের প্রবেশাধিকার থাকলেও অমুসলিমদের প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা আছে।

পুরো এলাকাটির উপর বিরাজমান ‘স্থিতাবস্থায়’ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন আনতে চাইছে, এমন ধারণায় ফিলিস্তিনি মুসলিমরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলে জানালেও তার এ আশ্বাসে কাজ হয়নি।  

পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ ১৯৮০ ও ২০০০-র দশকের দুটি বড় ধরনের বিক্ষোভ বা ‘ইন্তিফাদা’র কথা স্মরণে আনছে। এবারের বিক্ষোভ তৃতীয় ইন্তিফাদায় পরিণত হতে পারে, অনেকেই এমন আশঙ্কা করছেন। 

নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সবাইকে শান্তু থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফিলিস্তিনি পুলিশও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সব ধরনের সহযোগীতা করছে। তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।