ইউরোপকে ২ লাখ শরণার্থী নিতে হবে: জাতিসংঘ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোকে ২ লাখ শরণার্থী নিতেই হবে। সেইসঙ্গে এ সঙ্কট নিরসনে সর্বশক্তি নিয়াগ করতে হবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2015, 01:53 PM
Updated : 4 Sept 2015, 03:24 PM

শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার অ্যান্টনিও গুতেরেস একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

শরণার্থীদের বোঝা ভাগ করে নেয়ার ব্যাপারে ইইউ নেতাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার অভিবাসী সঙ্কট মোকাবেলা নিয়ে ব্রাসেলসের বৈঠকে নেতারা কোনো একটি সমাধানে পৌঁছতে একমত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

হাঙ্গেরিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধে আটকা পড়ে আছে শত শত শরণার্থী। অস্টিয়া সীমান্তে পৌঁছার আশায় থাকা শরণার্থীরা পুলিশী তৎপরতার মুখেও বুদাপেস্টের একটি শহরের শরণার্থী শিবিরে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।

ওই শরণার্থী শিবিরে গেলে জার্মানি কিংবা অন্যান্য দেশে আশ্রয় পাওয়ার পরিকল্পনা ব্যাহত হবে এ আশঙ্কায় অভিবাসীরা সেখানে যাচ্ছে না।

হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদেরকে ট্রেনে উঠতে না দেয়ায় বুদাপেস্টে রেল স্টেশনে আটকা পড়া বহু শরণার্থীই এখন পায়ে হেঁটে ভিয়েনা যাওয়ার সংকল্প নিয়েছে।

একটি শহরের শরণার্থী শিবির থেকে ৩শ’ অভিবাসী পালিয়ে যাওয়ার পর সার্বিয়ার সঙ্গে সীমান্ত পারাপার এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে হাঙ্গেরি।চলছে পুলিশের তল্লাশি অভিযান।

এরই মধ্যে বুধবার সাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিস যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে আয়লান নামে তিন বছরের এক শিশুর মৃতদেহ তুরস্কের সৈকতে ভেসে এসেছে। গণমাধ্যমে ছবিটি প্রকাশের পর শরণার্থীদের নিয়ে ইইউ নেতাদের অবস্থানের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিবাসী সঙ্কট নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

সঙ্কট ঘনীভূত হতে থাকায় শরণার্থীর ঢল সামলাতে একটি সমন্বিত কর্মকৌশল নেয়ার জন্য ইইউ এর ওপর চাপ বাড়ছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার গুতেরেস শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় ইইউ’র ভারসাম্যহীন এবং অকার্যকর ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেছেন, এ ব্যবস্থায় কেবল মানব পাচারকারীরাই লাভবান হচ্ছে।

তিনি ইইউ দেশগুলোকে ২ লাখ পর্যন্ত শরণার্থী নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কোন দেশ একাজ এককভাবে করতে পারবে না এবং কোন দেশ তার দায়িত্বও অস্বীকার করতে পারবে না। যখন একটি ব্যবস্থা ভারসাম্যহীন ও অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং চাপ বেড়ে যায় তখন সবকিছু অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।”

তিনি আরো বলেন,  “ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়। সঙ্কট মোকাবেলায় পূর্ণশক্তি ব্যবহার করা ছাড়া এর আর কোন বিকল্প নেই। এখন সমস্যা মোকাবেলার একমাত্র পথ হচ্ছে ইউনিয়ন ও এর সদস্যদেশগুলোকে দায়িত্ব, সংহতি ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে সবার জন্যএকটি  অভিন্ন কৌশল বাস্তবায়ন করা।”