পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই এর পর আর না বাড়িয়ে ‘নীতি সহায়তা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Published : 27 Apr 2016, 09:21 PM
বিনিয়োগকারীদের দাবির প্রেক্ষাপটে বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই নীতি সহায়তা সম্পর্কে পরে জানানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এফ এম মোকাম্মেলের সঙ্গে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা না বাড়িয়ে নীতি সহায়তা হিসেবে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ যেভাবে হিসাব করা হয় তাতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই পরবির্তন আসলে পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ কমবে বলে মনে করে তিনি।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক তার মূলধনের (পরিশোধিত মূলধন, স্ট্যাটিউটরি রিজার্ভ, রিটেইনড আর্নিং ও শেয়ার প্রিমিয়ামের যোগফল) সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারি করে এই বিনিয়োগ সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরবর্তীতে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ এর বেশি তাদেরকে তা কমিয়ে সীমার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য ২০১৬ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
২০১০ সালে বেশ কিছু ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করার প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে ওই সীমা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।