জাতীয় দলের প্রধান কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ ও তার সহকারী রেনে কোস্টারের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা।
Published : 12 Feb 2013, 04:36 PM
শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের প্রধান কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ ও তার সহকারী রেনে কোস্টারকে নিয়ে সব জটিলতার অবসান হয়েছে। মার্চের শুরুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের আগেই দুই ডাচ কোচ আসছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা।
২ থেকে ৬ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের বাছাই পর্বে অংশ নেবে বাংলাদেশ দল। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিন, উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ ও স্বাগতিক নেপাল।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জ কাপের জন্য দুই কোচের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেছে। তাই গত তিন দিন ধরে চলা জটিলতার অবসান হয়েছে। তাদের আসার আর কোনো বাধা নেই।”
“বেতন-ভাতা নিয়ে তাদের সঙ্গে সব জটিলতার অবসান হয়েছে। ঢাকায় আসার আগেই বেতনের ৫০ শতাংশ তাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বাকি ৫০ শতাংশ দিয়ে দেয়া হবে নেপাল যাওয়ার আগে,” যোগ করেন সালাউদ্দিন।
তবে বোনাস আগে দেয়া হবে না। নেপালে ভাল ফলাফলের ওপরেই দুজনের বোনাস প্রাপ্তি নির্ভর করছে।
গত শনিবার ডি ক্রুইফ ও কোস্টার তাদের এজেন্টের মাধ্যমে ই-মেইল পাঠিয়ে কয়েকটি দাবি জানিয়েছিলেন বাফুফের কাছে।
দাবিগুলো ছিল, চ্যালেঞ্জ কাপের জন্য যে চুক্তি হবে সেটি চাইলে তারা বাতিল করতে পারলেও বাফুফের সেই অধিকার থাকবে না।
চ্যালেঞ্জ কাপে প্রধান কোচ ডি ক্রুইফ না এলে আসবেন কোস্টার। তবে কোস্টারও কোনো কারণে আসতে না পারলে তাদের এজেন্ট অন্য কাউকে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব দিয়ে পাঠাবেন।
দুজনের আয়কর বাফুফেকে পরিশোধ করারও শর্ত দেন তারা।
স্বাভাবিকভাবেই এসব দাবি বা শর্ত নিয়ে বাফুফে সভাপতিসহ অন্যান্য কমকর্তা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সালাউদ্দিন তো অন্য কাউকে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা-ভাবনা পর্যন্ত করেছিলেন। ইয়েমেন জাতীয় দলের কোচ অথবা ডাচ বংশোদ্ভূত এক বেলজিয়ান কোচকে নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ডি ক্রুইফরা তাদের দাবি-দাওয়া থেকে সরে আসেন। নতুন নয়, পুরনো শর্ত মেনেই আসতে রাজি হয়েছেন তারা। তাই বাফুফেকেও বিকল্প চিন্তা করতে হয়নি।
চ্যালেঞ্জ কাপের জন্য অবশ্য খুব বেশি সময় পাচ্ছেন না তারা। কারণ ২৫ ফেব্রুয়ারি নেপালের উদ্দেশে রওনা দেবে জাতীয় দল।